কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আমন্ত্রণ জানিয়েও অধ্যাপকদের সঙ্গে রাজ্যপাল নিজে দেখা না করার বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া তাঁর প্রতিক্রিয়ার মূল বিষয় হল, রাজ্যপাল অতিথিদের অভ্যর্থনা করার ব্যাপারে ভারতীয় সংস্কৃতি তথা ঐতিহ্য মানেননি। তিনি রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদদের সঙ্গে এভাবেই ব্যবহার করেন। রাজ্যপালের ক্ষমতা সম্পর্কে তাঁদের দীর্ঘ ভাষণ শোনান সেই আধিকারিক। এটারও সমালোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষাবিদদের সংগঠন দি এডুকেশনিস্টস ফোরামও রাজ্যপালের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে শিক্ষাবিদদের ডেকে দেখা না করে আসলে তিনি ভাঁওতা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি যে বিপাকে পড়েছেন, সেটা পাশ কাটিয়ে যেতেই এসব করছেন। সমস্যার সমাধানে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করছেন না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ভৌগোলিক, ঐতিহাসিকভাবে পৃথক। সেগুলির বৌদ্ধিক ঐতিহ্য এবং পাঠ্যক্রমও আলাদা। তাই সবাইকে একসঙ্গে ডেকে যেভাবে তিনি ইচ্ছামতো দায়িত্ব দিতে চাইছেন, তা পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত। অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে অসৌজন্যমূলক, প্রথাবিরোধী এবং অপমানজনক বলে অভিহিত করেছে। ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আন্তরিক প্রয়াস না নিয়ে রাজ্যপাল যা করছেন, সেসব তুঘলকি আচরণ বলে তাঁদের অভিযোগ।