কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ভোট পর্বে এদিন নারীশক্তির এই উৎসাহ, মমতার ‘গ্যারান্টি’ লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের সন্তুষ্ট উপভোক্তাদের উচ্ছ্বাস বলেই মনে করছে তৃণমূল। আর সেই কারণেই কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পরাজয়ের মধ্যে দিয়েই শুরু হল প্রথম দফার ভোট। এদিন জিতল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এরপর দেখুন কী হয়।’ প্রথম দফার ভোটে ‘ইন্দ্রপতন’ হচ্ছে আগাম ধরে নিয়েই এদিনই সন্ধ্যায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার শহরে বিজয় মিছিল বের করে জোড়াফুল শিবির। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তিনটি আসনেই জিতব আমরা। পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই কর্মীদের ধরে রাখতে আগাম বিজয় মিছিল বের করছে ওরা।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে গড়ে ৭৭.৫৭ শতাংশ। আসনওয়াড়ি যে পরিসংখ্যান কমিশন সূত্রে মিলেছে, তাতে কোচবিহার (এসসি) আসনে ৭৭.৭৩, আলিপুরদুয়ার (এসটি) ৭৫.৫৪ এবং জলপাইগুড়িতে ৭৯.৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই হার আরও বাড়বে বলে কমিশন মনে করছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণই ছিল। যা ঘটেছে, দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলাও করা হয়েছে। তিনটি কেন্দ্র থেকে গোটা দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে ৫৫৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে কোচবিহার জেলা থেকে ২৬৯, জলপাইগুড়ি থেকে ১২৫ এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ১৬২টি অভিযোগ এসেছিল।’ সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে বিজেপির তরফে। গোটা দিন কোচবিহার কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে সিঙ্গল বনাম জোড়াফুল শিবিরের ‘চাপানউতোর’ নিরামিষ পর্যায়ে থাকলেও, ভোট গ্রহণের শেষ পর্বে শীতলকুচি বিধানসভার ২৫৪ ও ২৪৬ নম্বর বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি ও বোমাবাজি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালাতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিসকে। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। এদিনের নির্বাচন পর্বের মাঝে অনন্ত মহারাজের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ভাইরাল হয়। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল, জলপাইগুড়িতে বিজেপিকে ভোট নয়। বরং প্রফেসরকে (তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়) ভোট দেওয়া যেতে পারে। পরে অনন্ত মহারাজ জানান, চিঠিটি ভুয়ো। ওই স্বাক্ষর তাঁর নয়।
রাজনীতির আঁচে নয়, এরই মধ্যে তীব্র গরমে এদিন দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন সিপিএমের প্রদীপ দাস ও তৃণমূলের বুথ কর্মী সুশীল বর্মন।