রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে প্রায়শই উত্তপ্ত হচ্ছে দিনহাটা। উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক কিছুদিন আগেও মুখোমুখি হাঙ্গামায় জড়িয়েছেন। এবার নির্বাচনী প্রচারের অন্তিমলগ্নে নিশীথের এই আবেদনকে ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ বলেন, ভয় পাচ্ছে ওরা। ভোট লুট, বুথ লুট করার অভিসন্ধি স্পষ্ট। উদয়ন গুহ বাইরে থাকলে তো সেটা করতে পারবে না। তাই ঘরবন্দি করার আবেদন। কিন্তু এতে যে প্রতিক্রিয়া হবে তাতেই ওরা বুঝতে পারবে যে কত ধানে কত চাল!
নিশীথ প্রামাণিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ করা হলেও উত্তর আসেনি। সাংবাদিক সম্মেলন করে মিহির গোস্বামী বলেন, উদয়নবাবু সন্ত্রাস চালিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছেন। এমন কেউ যদি নির্বাচনের দিন খোলামাঠে ঘুরে বেড়ায় তাহলে গোটা প্রক্রিয়াটি সুস্থভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কমিশনের অসুবিধা হতে পারে। রাজ্য সরকার তৃণমূলের। উনি তৃণমূলের মন্ত্রী। উনি সন্ত্রাস তৈরি করছেন। সেজন্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে চাই ১৯ এপ্রিল ভোটের দিন যেন উদয়নকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক অবশ্য মিহির গোস্বামী প্রসঙ্গে বলেন, উনি বাজারেই নেই। নাটাবাড়ি কেন্দ্রেও যাচ্ছেন না। উনি তো ‘সুইচড অফ’ এমএলএ। ভেসে ওঠার জন্য নির্বাচনের আগে এসব বলছেন। নিশীথকে দেখানোর জন্য এবং নিজের দর বাড়ানোর জন্যই এসব করছেন। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই উদয়ন-নিশীথ দ্বন্দ্ব ঘিরে বারবার বির্তক দানা বেঁধেছে। নানা ঘটনা পেরিয়ে এবার নির্বাচনের দিনও যাতে উদয়ন তাঁর এলাকায় আটকে থাকেন, তা নিশ্চিত করতে কসুর করছে না বিজেপি। বিপরীতে তৃণমূল শিবিরের দাবি, তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরেই উদয়ন গুহকে ঘেরাটোপে বাঁধতে চাইছে। কিন্তু এর পরিণাম যে ভালো হবে না, সেকথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী উদয়ন।