রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন পৃথক কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কোচবিহারের সভা থেকে তাঁর প্রশ্ন, ১০ বছরের ট্রেলারের পর বিজেপির সিনেমা আর দেখবেন? জবাবে সমবেত জনতার কণ্ঠ থেকে ভেসে এল ‘না’। সভামঞ্চ থেকেই অভিষেক আশ্বস্ত করলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে না। বাংলার টাকা আটকে রেখে দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট বানানো নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। এদিন বিকেলেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের রোড শো ঘিরে জনপ্লাবনের সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ার।
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড কোচবিহারের সভায় বলেন, জেলার ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩০২ জন জবকার্ড হোল্ডারকে ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়া হয়েছে। ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হচ্ছে। উনিশের জবাব আগামী ১৯ এপ্রিল দিতে হবে আপনাদের। কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার হুমকি দিয়ে বিজেপি নেত্রীর সেই মন্তব্যের অডিও শোনান অভিষেক। কোচবিহার আসনের দলীয় প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে এই সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিষেক বলেন, ওই দলের এক নেত্রী হুঙ্কার দিচ্ছেন, বিজেপি যদি কোচবিহারে জেতে এবং বাংলায় ৩৫টি আসন পায় তাহলে তিনমাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য মা বোনেদের বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু পাল্টা বলেন, মমতা ও অভিষেক কোচবিহার চষে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা ভাবছেন মানুষের মন জয় করতে পারবেন। তৃণমূল যতই ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুক কোনও কাজ হবে না।
এদিন আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডে বিকেলে হেলিকপ্টার থেকে নামেন অভিষেক। কলেজ হল্ট থেকে বক্সা রোড ধরে হুডখোলা গাড়িতে রোড শো শুরু হয়। চৌপথিতে গিয়ে রোড শো শেষ হয়। সেখানে পথসভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, আলিপুরদুয়ার ডাবল ইঞ্জিন জেলা। এখানে এমপি বিজেপির, বিধায়কদের প্রায় সবাই বিজেপির। কিন্তু ওই দল কী দিয়েছে? শুধু প্রতারিত হয়েছেন। তাই বিজেপিকে যে কোনওমূল্যে হটাতেই হবে।