পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
শুধু নিরঞ্জন বর্মনই নন, তাঁর মতো আরও অনেকের মুখেই শোনা গেল, ‘সাংসদের বাড়ির সামনে যেভাবে বন্দুক নিয়ে লোকগুলো দাঁড়িয়ে থাকেন, তাতে যেতে খুব ভয় লাগে।’
আপনাদের জেলায় তো এখন দু’জন সাংসদ। নিশীথবাবুকে না পেলেও, আরেকজন তো রয়েছেন অনন্ত মহারাজ। তাঁর কাছে যাচ্ছেন না কেন? কোচবিহারের বাসিন্দা রাজেশ রায় (নাম পরিবর্তিত) কিছুটা ভয়ে ভয়েই বললেন, ‘দাদা ওঁর বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। উনি আমাদের মহারাজ। তাই ওঁর কাছে নিজের ইচ্ছামতো কোনও আবদার নিয়ে যাওয়া মুশকিল। তবে ওঁর বাড়িতে ঢোকাও সাধারণ ভোটার বা বাসিন্দাদের কাছে বেশ কষ্টসাধ্য। প্রথমত মহারাজ, তার উপর গতবছর রাজ্যসভা থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। একেবারে ডবল ইঞ্জিন। ফলে ওঁর বাড়িতেও নিরাপত্তার কড়াকড়ি বেশ ভালো।’ রাজেশবাবুর কথাতেই, ‘মহারাজের বাড়ির গেটেও অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। সেই সঙ্গে ওঁর নিজস্ব প্রহরীরাও রয়েছেন। ফলে এতসব নিরাপত্তা টপকে অনন্ত মহারাজের কাছে পৌঁছনো বেশ কষ্টসাধ্য।’ একই কথা বলছেন রাজবংশী সম্প্রদায়ের অনেকেই। এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি কিছু বলতে চাননি। এমনকী তাঁর বাড়িতে দেখা করেও এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়, তিনি দেখা করতে রাজি হননি। জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন।
এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয় বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক অমিতাভ মিত্রর কাছে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করেই এই বিষয়গুলি প্রচার করছে। যদিও বাস্তবটা এরকম নয়। নিশীথবাবু শুধু সাংসদই নন, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তাই তাঁকে দিল্লিতে দীর্ঘসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই হয়তো অনেকসময় এলাকায় কম সময় দিতে পারেন। তবে ভবিষ্যতে উনি জিতে এলে, এলাকায় সাংসদ যাতে আরও বেশি সময় দিতে পারেন, সেবিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, অনন্ত মহারাজ শুধু সাংসদ নন, তিনি একটি সম্প্রদায়ের প্রধানও। তাই তাঁকে সেই কাজে বহু জায়গাতেই অনেক সময় দিতে হয়।’