ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার কালী মজুমদার রোডে। সুনীত যাদব নামে এক ব্যক্তি দুপুরবেলায় পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা হয় সোনুর সঙ্গে। যদিও ঘটনাস্থলেই সেটা মিটে গিয়েছিল। কিন্তু পরে মৃত ব্যক্তি কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে স্থানীয় একটি এলাকায় চা খাচ্ছিলেন। তখন সোনু যাদবের বাবা ওই ব্যক্তিকে এসে গণ্ডগোল কী নিয়ে হয়েছে, তা জানতে চান। তার সঙ্গে কথাবার্তার মাঝেই হঠাৎ বাইকে চেপে সেখানে উপস্থিত হয় সোনু। এরপর একটি লোহার পাইপ দিয়ে সুনীতের মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সুনীত। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঘটনার পরেই সোনু এবং তার বাবাকে ঘিরে ধরেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিস। তারা গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী স্নেহময় মুখোপাধ্যায় বলেন, মামলা চলাকালীন আদালতে মোট ১১ জন সাক্ষীর বয়ান নথিবদ্ধ হয়। সোমবার অভিযুক্ত সোনুকে দোষী সাব্যস্ত করেন হাওড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ প্লাবন মুখোপাধ্যায়। অন্য অভিযুক্ত অর্থাৎ সোনুর বাবাকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার মামলার রায়দানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা হয়। অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।