সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, একটি পণ্যবাহী গাড়ির চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপরই ফুটপাতে উঠে যায় গাড়িটি। তখনও গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি চালক। এরপর দেওয়াল ভেঙে ঢুকে ওই বাড়িতে। বাড়ির ভিতর আরও লোকজন ছিলেন। তবে তাঁরা কেউ হতাহত হননি। দুর্ঘটনার জেরে বাড়িটির ভয়াবহ অবস্থা হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় রেহানার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পশ্চিম বন্দর থানা ও সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের পুলিস কর্মীরা। মহিলাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। লালবাজার জানিয়েছে, চম্পট দিয়েছে লরিচালক। পণ্যবাহী গাড়িটি আটক করেছে পশ্চিম বন্দর থানা। গাড়ির মালিককে তলব করা হয়েছে।
প্রেম মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রেহানার স্বামী আব্দুল কালাম ভিন রাজ্যে থাকেন। তাঁর সঙ্গেই কথা বলছিলেন রেহানা। এই দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁর এক শিশুসন্তান রয়েছে। বাড়ির বাইরে খাবার জলের একটি কল রয়েছে। এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ সেখানে জল ভরতে যান রেহানা। তখনই স্বামীর ফোন আসে। তখন ঘরেই শুয়েছিলেন বড় মেয়ে, তাঁর শিশু সন্তান ও ছোট মেয়ে। আচমকা ঘরের ভিতর লরি ঢুকে আসায় হকচকিয়ে যান দুই মেয়ে। তবে কারওরই বিশেষ চোট লাগেনি। তছনছ হয়ে যায় ঘরের ভিতর। ওই মহিলা ঘরের বাইরে থাকায় তাঁকে সমেত দেওয়াল ভেঙে ঢুকে যায় লরিটি।