সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
২০০৯ সালে প্রথম বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংসদ হন হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর অবশ্য তাঁকে এই কেন্দ্রে টিকিট দেয়নি দল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে এই কেন্দ্র থেকেই ফের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতটি বিধানসভার নেতাদের নিয়ে নিজের বাড়িতেই মিটিং করেছেন তিনি। কিন্তু ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ‘যন্ত্রণা ও বঞ্চনা’কে এখন সামনে আনছেন দলের পুরনো নেতারা। বুধবার দুপুরে হাড়োয়ার এক বর্ষীয়ান নেতা আক্ষেপের সুরে বললেন, ১৯৯৮ সাল থেকে দল করছি। কিন্তু দল এবার একচেটিয়া সুপারিশের বিনিময়ে টিকিট দিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের টিকিট দেওয়া হল না। ফলে মনোবল ভেঙে গিয়েছে। যখন গ্রামের ভোটের ক্ষেত্রে আমাদের সম্মান দেওয়া হয়নি, তখন আমরা লোকসভায় লড়ব কেন? তাই ভোটের ময়দানে নামব না। তবে দলের নেতারা অবশ্য এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এরপর তাঁর সংযোজন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। যাঁরা পদ আঁকড়ে বসে আছেন, তাঁদের বুথের কী হাল হয়েছে, সেটা ৪ তারিখেই স্পষ্ট হবে। অন্যদিকে হাড়োয়ার এক নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেছিলাম। কিন্তু, প্রার্থী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আমাদের ব্লকে তিনি যাবেন না। কারণ ব্লকের অনেক পুরনো কর্মী ভোটের ময়দানে নামছেন না। এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁর এক প্রথম সারির নেতা বলেন, যেভাবে দল চলছে, তাতে বসিরহাট নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। যাঁরা বিরোধী দল করতেন, তাঁরা এখন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা। এটা কর্মীরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। এর ফল হয়তো পেতে হতে পারে প্রার্থীকে।