পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর প্রেমিক স্বপন দাস(২৩) স্বরূপনগর থেকে প্রায়শই বসিরহাট আদালতে চলে আসতেন। রায়দানের দিন তরুণী কাঁদতে কাঁদতে বিচারককে বলেন, ‘হুজুর অন্যায় হয়ে গিয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য লুকিয়ে এদেশে ঢুকেছিলাম। ধরা পড়ে গিয়েছি। আমার অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। প্রেমিককে খুব ভালোবাসি। ওকে নিয়েই ঘর বাধতে চাই। আমাকে মুক্ত করে দিন। অথবা কম সাজা দিন।’ বিচারক তা শুনে বলেন, ‘আইনের বিধান অনুসারে কোনও মামলায় দোষ স্বীকার করলেই অভিযুক্ত পার পেয়ে যান না। আদালত সব কিছু বিচার‑বিশ্লেষণ করেই রায় দিয়ে থাকে।’ এরপর দেড় বছরের সাজা নির্ধারিত হয়। সঙ্গে আর্থিক জরিমানারও নির্দেশ দেন বিচারক। রায় শুনে এজলাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বপন। তাঁকে সান্তনা দিয়ে প্রেমিকা বলেন, ‘ধৈর্য ধরো। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।’
আদালত সূত্রে খবর, ফেসবুক সূত্রে আলাপ ওই তরুণ‑তরুণীর। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমে গভীর হয়। দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হতো। ২০২২ সালে দু’জনে দেখা করবেন বলে ঠিক করেন। তারপর বাড়ি থেকে পালান ওই তরুণী। সঙ্গে কোনও নথিপত্র ছিল না বলে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে সাজাপ্রাপ্ত হলেন।