সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রাস্তা, জল, আলো, সাফাই, নিকাশি— এই পাঁচ পরিষেবায় অনেক ছোট শহরের থেকেও পিছিয়ে হাওড়া। সবচেয়ে করুণ দশা হাওড়া শহরের সাফাই বিভাগের। জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন করলে অনেকেই বাঁকা সুরে বলেন, সেটা আবার হাওড়া শহরে আছে নাকি? এই টিপ্পনি যে নেহাত অমূলক নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে দেশের নোংরা শহরের তালিকাতেই। কারণ তাতে যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই শহর। রামরাজাতলায় দিনের পর দিন বিভিন্ন রাস্তার দু’ধারে আবর্জনা পড়ে থাকে। বাসিন্দারা বলছেন, কখনও তিন দিনে একবার, কখনও সাত দিনে একবার দেখা মেলে সাফাই বিভাগের কর্মীদের। ফলে গোটা এলাকার পরিবেশই অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। পুরসভার ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, ভোটের সময় শাসকদলের লোকজন এসে ভোট চেয়ে যান। অথচ পরিষেবা দেওয়ার বেলায় তাঁদের দেখা মেলে না। তাই অযথা সময় নষ্ট করে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে যাব কেন?
রামরাজাতলা থেকে ধাড়সা মনসাতলা বাজার পর্যন্ত গিয়েছে একটি রাস্তা। সেই রাস্তার একাধিক জায়গায় আবর্জনা উঁচু হতে হতে কার্যত টিলার আকার নিয়েছে। নোংরা পরিষ্কার করার নামগন্ধ নেই পুরসভার। এর থেকেও করুণ অবস্থা মহিয়াড়ি রোডের। রামরাজাতলা স্টেশনের ওপারে মহিয়াড়ি রোড। আবর্জনার কারণে এই রাস্তা ক্রমশ সরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আবর্জনার কারণে রাস্তার পরিসর অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা অতীন্দ্র বর্মন বলেন, কিছুদিন বাদেই এই এলাকায় ভোট চাইতে আসবেন শাসকদলের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। তাঁরা এলে রাস্তার হাল দেখাব। নাগরিক পরিষেবাই যদি ঠিকমতো না পাই, তাহলে একজন সাংসদের কাছ থেকে কী পরিষেবা পাব, তা সহজেই অনুমান করা যায়। সুমিত্র দাস বলেন, বিভিন্ন সময় পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। টানা সাত-আট দিন ময়লা পড়ে থাকে। আমাদের দুর্দশার শেষ নেই।
এদিকে, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার এক পদস্থ কর্তা। তিনি বলেন, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। আবর্জনা সরাতে সাফাই বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আবর্জনা তোলার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।