সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
দেরাদুনের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার গবেষক বিবেক এবং নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটির জুলজি বিভাগের গবেষক রোডসন থ্যাঙ্গখিউ আলাদা আলাদা জায়গায় এই পোকার হদিশ পেয়েছেন। এছাড়াও এই গবেষক দলে ছিলেন কুক্কু মহাপাত্র, সুধন্যা আর হাজং, মনোজ ভি নায়ার, প্রত্যুষ পি মহাপাত্রের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক-শিক্ষকরা। এই খোঁজের পিছনে গল্পটি বেশ চমকপ্রদ। ২০১৭ সালে এই পোকার প্রথম খোঁজ পান বিবেক। আর রোডসন এবং সুধন্যা ২০২০ সালে দক্ষিণ খাসি পাহাড়ের রি ভয় জেলায় পতঙ্গটির অস্তিত্ব রেকর্ড করেন। পতঙ্গটি একই বলে জুট্যাক্সা জার্নাল সবাইকেই একসঙ্গে কৃতিত্ব দিয়ে খবরটি ছেপেছে। তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই বিবেকের। তিনি স্বীকৃতি পেয়ে খুশি।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এটি অন্যান্য ঘুর্ঘুর পোকার মতোই শব্দ করে। তবে এর পাখনা এতই সুন্দর যে, একনজরে মথ বা প্রজাপতি হিসেবে ভুল হতে পারে। এটিকে তাই বাটারফ্লাই সিকাডাও বলা হয়ে থাকে। বিবেক বলেন, ‘রুফর্ড স্মল গ্রান্টের টাকায় এই অভিযান চালিয়েছিলাম। এ ধরনের আবিষ্কারে প্রমাণ হয়, মেঘালয়ের পাহাড়গুলি জীববৈচিত্রে কতটা সমৃদ্ধ। সেখানে এ ধরনের আরও অভিযান চালানো উচিত।’
ভারতবর্ষ সিকাডার সবচেয়ে বড় চারণভূমি। তবে গত শতাব্দীর প্রথম দিকে বেশ কিছু কাজ হলেও তারপর এগুলির খোঁজ কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি এ ধরনের আরও কিছু পতঙ্গ মিলেছে, যা ভারতে কখনও দেখা যায়নি। এ ধরনের পতঙ্গের জৈবিক বিভিন্ন দিক এবং তথ্য এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।