বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিসের দাবি, দলের কর্মীকে গ্রেপ্তারের পরেই বিজেপির শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক সভাপতি সুমন ঘোষ থানার ওসিকে হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের হাতের মুঠোয়। কমিশনকে বলে বদলির করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমন। তিনি বলেন, পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতায় তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। তাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকবাবু নিলয়পুরের বাড়িতে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। অংশীদারি বাড়িতে থাকার জমিজায়গা নিয়ে ভাইদের সঙ্গে তার গণ্ডগোল চলছিল। ঘর ভেঙে পড়ায় তিনি ইন্দিরা আবাসন প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণের সুযোগ পান। কিন্তু, বিজেপির স্থানীয় লোকজন অশোকবাবুকে ঘর করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তাই ত্রিপল খাটিয়ে পরিবার নিয়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, মাঝেমধ্যে বিজেপির কর্মীরা তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিত। সেই সঙ্গে অশোকবাবু ইন্দিরা আবাসনে বাড়ি করতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিত। লাগাতার হুমকি আর হুঁশিয়ারির কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই এদিন ভোরে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন।
মৃতের স্ত্রী অর্চনা বলেন, স্থানীয় বিজেপির লোকজন আমার স্বামীকে ভয় দেখাত, হুমকি দিত। তাদের শাসানির কারণেই আমার স্বামী আত্মঘাতী হয়েছে। আমি পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে অশোকবাবুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এদিন জাঙ্গিপাড়ার নিলয়পুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি একটা অসভ্য, বর্বর দল। যারা সমাজে ও ঘরে ঘরে অশান্তির বাধানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে কমিশনের ভয় দেখিয়ে থানার ওসিকে বদলির হুমকি দিচ্ছে বিজেপির নেতারা। বিজেপির জন্যই অশোকের মতো একজন কর্মীকে আমরা হারালাম। মৃতের স্ত্রী যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে তারা যে বিজেপির সক্রিয় কর্মী সেটা গ্রামের মানুষ জানে। আমরা চাই পুলিস তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।