নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা। বাইরে বেরনো যেন শাস্তির নামান্তর। কিন্তু ভোট বড় বালাই। তাই বুধবার চড়া রোদ্দুরে পায়ে হেঁটে প্রচার সারলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। এদিন বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতে মাদার টেরেজা চারমাথা মোড় থেকে বাসন্তী কালীমন্দির পর্যন্ত জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল সহ ব্লকের অন্যান্য তৃণমূল নেতা। প্রার্থী প্রচারে এসেছেন শুনেই গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তাঁরা নানা অভাব ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এই পঞ্চায়েতের নদীঘেরা এলাকায় বছর দু’য়েক আগে বড়সড় ধস নেমেছিল। সেখানে নদীবাঁধের অবস্থা খুব খারাপ। তাই প্রতিমাদেবীর কাছে গ্রামবাসীরা কংক্রিটের নদীবাঁধ দাবি করেন। কেউ কেউ আবার এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার সুরাহা চান প্রার্থীর কাছে। গ্রামবাসীদের প্রতিমাদেবী আশ্বস্ত করে জানান, তিনি জিতে এলে নদীবাঁধ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবেন। প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে প্রচারের পর বিকেলে বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটি অঞ্চলে একটি পথসভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক বলেন, ‘এবার বাসন্তীর ১৪টি অঞ্চল থেকে ৮০ হাজার মার্জিন দিতে হবে। তার জন্য আমাদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। বিরোধী পক্ষের কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া যাবে না।’
এদিকে, এদিন সেভাবে কোনও প্রচার কর্মসূচি রাখেননি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকার পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেসের ইস্তাহার, সিপিএমের ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার দাবি এবং তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। তিনটি দলের নীতি নিয়েই কড়া সমালোচনা করেন তাঁরা। এমন মানসিকতার জন্য মানুষ তাদের ছুড়ে ফেলে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজস্থানের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে কংগ্রেসকে ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণে বিঁধেছেন, এদিন সেই সুরই শোনা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীদের গলায়।