ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
রান তাড়ার শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাতের। দ্রুত ফেরেন গিল (৬)। দ্বিতীয় উইকেটে ঋদ্ধিমান সাহা (৩৯) ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা সাই সুদর্শন (৬৫) যোগ করেন ৮২। কিন্তু তারপরই নামে ধস। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১), শাহরুখ খান (৮) বেশিক্ষণ থাকেননি। ডেভিড মিলার অবশ্য জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তাঁর ৫৫ আসে মাত্র ২৩ বলে। ‘কিলার মিলার’ ফিরলেনও রশিদ (১১ বলে অপরাজিত ২১) লড়াই চালিয়ে যান। সাই কিশোরও (৬ বলে ১৩) মারেন দুটো ছক্কা। কিন্তু রশিদ শেষ পর্যন্ত জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রসিখ সালামই (৩-৪৪) দিল্লির সফলতম বোলার। ২৯ রানে দুই উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।
তার আগে সংহার মূর্তিতে দেখা দিয়েছিলেন পন্থ। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেছিল টি-২০ বিশ্বকাপের দলে তাঁর থাকা নিয়ে যাবতীয় সংশয়কে। ৮টি ছয় ও ৫টি চারে সাজানো ইনিংসের দাপটেই টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ২২৪ তোলে হোমটিম। তার মধ্যে মোহিতের শেষ ওভারেই আসে ৩১। তাতে পন্থের ব্যাটে আসে ৪টি ছক্কা ও একটি চার। সার্বিকভাবে চার ওভারে ৭৩ রান দিয়ে আইপিএলে লজ্জার রেকর্ডের মালিক হলেন মোহিত। ওয়াইড ইয়র্কার, স্লোয়ার, বাউন্সার— ডানহাতি বর্ষীয়ান পেসারের যাবতীয় বৈচিত্র্যকেই মাঠের বাইরে ফেলেন পন্থ। ভয়াবহ দুর্ঘটনার জের কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছিল ব্যাটে। এদিনের ইনিংসে অবশ্য পুরনো বিধ্বংসী মেজাজেই হাজিরা দিলেন পন্থ। ৪৮.৮৫ গড়ে ৩৪২ রান হয়ে গেল তাঁর। স্ট্রাইক রেট ১৬১.৩২।
দিল্লি ইনিংসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন অক্ষর প্যাটেলও। ৪৩ বলে তাঁর ৬৬ রানে ছিল চারটি ছয় ও পাঁচটি চার। পন্থ-অক্ষর চতুর্থ উইকেটে ৬৮ বলে যোগ করেন ১১৩। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে পন্থের জুটিতে ১৮ বলে ওঠে ৬৭। সাত বলে স্টাবস অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে। তবে হতাশ করেন পৃথ্বী সাউ (১১), ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (২৩), শাই হোপ (৫)। তিনজনই সন্দীপ ওয়ারিয়রের শিকার (৩-১৫)।