বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ভারত পর পর দু’টি ম্যাচ জেতায় সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার সুযোগ পাচ্ছে অনেক বেশি। গত ম্যাচে রাঁচিতে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারতে হয়েছিল মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে। চলতি সিরিজে রহিত শর্মার ব্যাটিং গড় ১৭। শিখর ধাওয়ানের অবস্থা আরও খারাপ। ৭.৩৩ গড়ে তিনি করেছেন মাত্র ২২ রান। আর অম্বাতি রায়াডুর ব্যাটিং গড় মাত্র ১১। অর্থাৎ বাকি ব্যাটসম্যানদের সাফল্য শুষে নিচ্ছে এই তিন ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শিখর ধাওয়ান ও অম্বাতি রায়াডুর জায়গায় অন্যদের কেন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না? লোকেশ রাহুলকে যখন তৃতীয় ওপেনার হিসাবে ভাবা হচ্ছে, তাহলে খেলানো হচ্ছে না কেন? আর বিজয় শঙ্কর যখন ভালোই ব্যাট করতে পারেন, তাহলে রায়াডুর জায়গায় তাঁকে কেন পরীক্ষা করা হচ্ছে না? এছাড়া দীনেশ কার্তিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকেও চার নম্বরে খেলানো যেতে পারে। মণীশ পাণ্ডেও হাতে আছেন। অনেকে আবার বলছেন, অজিঙ্কা রাহানেকে একদিনের দলে ফেরানো উচিত। এক চার নম্বরে ব্যাট করালে ইংল্যান্ডের পিচ ও পরিবেশে দারুণ কার্যকরী হতে পারে। তবে কোচ রবি শাস্ত্রী কিংবা ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির মাথায় এমন কোনও পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে হয় না।
আসলে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সফরের সাফল্যের বুঁদ ছিল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ধাক্কা খেতেই টনক নড়ছে কোচ রবি শাস্ত্রীর। কিন্তু হাতে সময় কম। দল নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ঝুঁকিও নিতে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত সম্ভাব্য স্কোয়াডের বাইরে না গিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সকলকে সুযোগ দিয়ে দেখে নিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তারই অঙ্গ হিসাবে এই ম্যাচে মহম্মদ সামির পরিবর্তে ফিরতে পারেন ভুবনেশ্বর কুমার। দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহালকে ফের এক সঙ্গে খেলতে দেখা যেতে পারে। রবীন্দ্র জাদেজাকে সেক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হতে পারে।
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ধীরে ধীরে পিক করছে। সেই সঙ্গে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটার নির্বাসন কাটিয়ে দলে ঢুকলে বিশ্বকাপে খেতাব ধরে রাখার লড়াই প্রতিপক্ষ দলগুলিকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। তবে চলতি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বড় প্রাপ্তি ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিনচের ফর্মে ফেরা। গত ম্যাচে তিনি অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন। ফর্মে আছেন উসমান খাওয়াজা। এছাড়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোইনিস অ্যালেক্স কেরির মতো ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় বোলারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। তবে ভারতের মাটিতে দারুণ বল ঘোরাচ্ছেন দুই অজি স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান লিয়ঁ। মোহালিতে চতুর্থ একদিনের ম্যাচেও এদের দু’জনের দিকে নজর রাখতে হবে। জাম্পাকে খেলতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। সেই সঙ্গে প্যাট কামিন্সের মতো অভিজ্ঞ পেসার অস্ট্রেলিয়ার বোলিংকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় দুপুর ১-৩০ মিনিটে।