পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় পানীয় জলের স্তর নেমে গিয়েছে। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত টিউবওয়েলগুলিতে জল উঠছে না, সেগুলিতে নীচে অতিরিক্ত পাইপ যুক্ত করা হচ্ছে। রির্জাভারে জল ভরার জন্য সারাদিন ধরে ধাপে ধাপে মেশিন চালানো হচ্ছে। তবে এভাবে চললে শহরে জল সরবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহরে ১৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার রয়েছে। বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভা প্রাঙ্গণ ও কুমারি টকির সামনে ২টি করে, এবং দমদমা ও তুড়কিতে ১টি করে মোট ৬টি রিজার্ভার রয়েছে। তাতে জল ভরার জন্য সেখানেই ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে চার-পাঁচটি করে কমিউনিটি স্তরে সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। এছাড়াও অসংখ সাধারণ টিউবওয়েল রয়েছে। এছাড়াও বহু বাড়িতে নিজস্ব সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। গরমের কারণে জলের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে জলস্তর হু হু করে নামছে। সেই কারণে অধিকাংশ টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত জল উঠছে না। বিশেষ করে যেসব টিউবওয়েলে দেড় ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ রয়েছে সেগুলোতে জল একেবারেই উঠছে না। সাবমার্সিবল পাম্পেও জল কম উঠছে। আর ডিপ টিউবওয়েলগুলি কিছুক্ষণ চলার পরেই গতি কমে যাওয়ায় রিজার্ভারে জল উঠছে না। মাটির নীচে জল জমার পর কিছুক্ষণ বাদে বাদে চালাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে জলের স্তর আরও নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন কীভাবে শহরে পানীয় জল সরবরাহ হবে তা ভেবে পুরসভার কর্তারা উদ্বিগ্নো বিষ্ণুপুর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলার বলেন, রোজই বিভিন্ন পাড়া থেকে টিউবওয়েলে জল না ওঠার অভিযোগ আসছে। বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, জলস্তর কমে যাওয়ায় জলের গতি বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি তৈরির কাজ চলছে। শহরে পানীয় জল সরবরাহ ঠিক রাখতে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে জলের মূল উৎস মাটির নীচের জলস্তর। প্রকৃতিই তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টিই একমাত্র ভরসা। তাই জলের অপচয় না করার জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।