পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার দীনবন্ধু গ্রামেরই নিউ প্রাইমারি স্কুল লাগোয়া শিবালয় মন্দিরে গাজন দেখতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর বাবা কেরলে থাকেন। বৃহস্পতিবার তাঁর মা এবং ঠাকুমা দীনবন্ধুর অসুস্থ পিসিকে নিয়ে তমলুক হাসপাতালে যান। বিকালে ফিরে এসে দেখেন, তখনও ছেলে বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যায় বাকচার উপপ্রধান প্রসেনজিৎ ভৌমিককে নিয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করতে যান। রাত ৯টা নাগাদ পুলিস মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে গোড়ামহালে যান। লোকেশন অনুযায়ী বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে পান বরজের ভিতরে গিয়ে দীনবন্ধুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। গায়ে জামা ছিল না। দীনবন্ধুর সাইকেলটিও পাওয়া যায়নি।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিস সুপার(হেডকোয়ার্টার) নিখিল আগরওয়াল এবং তমলুকের এসডিপিও আফজল আব্রার। ভোর ৫টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার কিছুক্ষণ পরই গোড়ামহাল গ্রামে যান বিজেপির জেলা সভানেত্রী তাপসী মণ্ডল এবং ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা। ভোটের মুখে ওই ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গতবছর ১মে বিজেপির গোড়ামহাল বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হন। সেই ঘটনায় হাইকোর্ট সম্প্রতি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এরমধ্যেই গোড়ামহালে আর এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। দীনবন্ধুর পরিবার বিজেপি করলেও তিনি পার্টির কর্মসূচিতে সেভাবে অংশ নিতেন না। স্থাননীয়রা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হলে আসল কারণ জানা যাবে।
বিজেপির বাকচা অঞ্চলের কনভেনর উত্তম সিং বলেন, এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক খুন। মৃত যুবকের কাকা গৌতম মিদ্যা আমাদের দলের বুথের সহ সভাপতি। আমরা এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি।
তৃণমূল কংগ্রেসের ময়না ব্লক সভাপতি সন্দীপব্রত দাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে আত্মহত্যা বা খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমাদের ধারণা। নিহতের মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিস। সেখান থেকে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করছি।