পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি ট্যাঙ্কার জল সরবরাহের জন্য গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। ৪ এপ্রিল থেকে গ্রামে গ্রামে জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। আপাতত ওই সংখ্যক ট্যাঙ্কার প্রায় আড়াই হাজার বার জল দিয়েছে।
দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তীব্র দহনের জন্য ভূগর্ভস্থ জলের স্তর আগের তুলনায় অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে পাইপ লাইনে পানীয় জল সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে ট্যাঙ্কারের সাহায্যে জল পৌঁছনো হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। সকাল, বিকেল দুই বেলাই বিভিন্ন গ্রামে জল দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় পানীয় জলের যাতে অপচয় না হয় সেই ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। পিএইচই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া সদর ও খাতড়া মহকুমা এলাকায় জলের সঙ্কট বেশি। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন গ্রামে পর্যাপ্ত জল না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন বাসিন্দারা। দপ্তরের বিভিন্ন অফিসেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। তার জেরে ট্যাঙ্কারের সাহায্যে জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দাবি, গত ৪ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪৭৮ বার জল সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গ্রামে। তাতে প্রায় ২০০টি ট্যাঙ্কার ব্যবহার করা হয়েছে। গুরুত্ব বুঝে রাজ্য থেকেও বাঁকুড়ার জন্য ছ’টি ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলি বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। জেলায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও কারখানায় থাকা ট্যাঙ্কার যেমন নেওয়া হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে হুগলি ও পানাগড় থেকেও কিছু ট্যাঙ্কার ভাড়া নিয়েছে ঠিকাদার সংস্থাগুলি। পাঁচ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ওই ট্যাঙ্কারের সাহায্যে গ্রামে জল পৌঁছানো হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বাঁকুড়ার ২ ব্লকে এখনও পর্যন্ত ২৫৩ বার জলের সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। বড়জোড়ায় ২৪৬ বার। রানিবাঁধে ২৪৫ বার, সিমলাপালে ২৫২ বার জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকি ব্লকগুলিতেও প্রায় শতাধিকবার জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে।
হিড়বাঁধের বাসিন্দা ভজন কর্মকার বলেন, আমাদের লালবাজার এলাকাতেও পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে। ট্যাঙ্কার পাঠালে ভালো হয়। তবে জল নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, কেন্দ্র টাকা পাঠালেও বাড়ি বাড়ি জলের ব্যবস্থা হয়নি। গন্ধেশ্বরী দ্বারকেশ্বর প্রকল্পও করতে দেয়নি রাজ্য। তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, জল প্রকল্প নিয়ে সুভাষবাবু মিথ্যে কথা বলছেন। তিনি ওই প্রকল্পের বরাদ্দ কেন্দ্র থেকে আনতে পারেননি।