গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা নেতৃত্বের এই আশ্বাসে বুথের কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। নির্বাচনের আগে বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে দলের অন্দরে ইতিবাচক দিক বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে এই টোটকায় ভোটব্যাঙ্কে ভালো প্রভাব পড়বে বলে আশা জেলা নেতাদের।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, আমাদের সমতলের পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের সমস্ত বুথেই ভালো লিড নিলে সারপ্রাইজ গিফট দেওয়া হবে। যেসমস্ত বুথ ভালো ফলাফল করবে সেই বুথগুলিকে সারপ্রাইজ গিফটের পাশাপাশি জেলার তরফে শংসাপত্রও দেওয়া হবে। তবে কি গিফট, তা এখনই বলছি না।
অন্যদিকে, পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত আসনে লিড ছিল, অথচ লোকসভা নির্বাচনে সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি সেই বুথের নেতৃত্বকে দলের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সেই বুথ নেতৃত্বের প্রতি দলীয়ভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। পাপিয়া বলেন, আমরা লিড নেওয়া প্রতিটি বুথে অন্তত আরও পাঁচটি ভোট বেশি লিড নেওয়ার টার্গেট বেঁধে দিয়েছি। যে বুথগুলি আগের থেকে ৫০টি বেশি ভোটের লিড নেবে সেই বুথ নেতৃত্বকে শংসাপত্র দেওয়া হবে।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি আসনের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি ওয়ার্ড। এই ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে ২৪৫টি বুথ। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের চারটি ব্লক রয়েছে ৫৬৫টি বুথ। মহকুমা পরিষদ ও পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে মোট বুথ ৮১০টি। শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদ এই দুই নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল ৮০ শতাংশ বুথে জয়লাভ করেছিল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব চাইছে দুই নির্বাচনে জয় পাওয়া ওই ৮০ শতাংশ বুথের লিড ধরে রাখতে। পাশাপাশি এই নির্বাচনে সেই লিড আরও বাড়িয়ে নিতে। তাহলেই বিজেপির থেকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত। পাহাড় ও সমতলে ভোটাররা এবার বিজেপিকে হারাতে সঙ্ঘবদ্ধ। আমাদের টার্গেট, জেতা বুথগুলির লিড ধরে রাখা। প্রতি বুথে কর্মীদের অল আউট ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজেদের সংসদে জেতার জন্য যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ঠিক সেভাবেই এই ভোটেও ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। এবার দার্জিলিং পাহাড়ে অনীত থাপার মতো নেতৃত্ব আমাদের দলের সঙ্গে রয়েছে। পাহাড়ের মানুষ বিভাজন নয়। উন্নয়ন চাইছে। রাজ্য সরকার পাহাড়ে ঢেলে উন্নয়ন করছে। পাহাড়ের মানুষ তা উপলব্ধি করতে পারছে। তাই পাহাড়ের মানুষও এবার পরিবর্তনের পক্ষ রায় দেবে।