গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
টোটোন বর্মন, শীতলকুচি: বাজারে মুড়ি বিক্রি করে আইআইটিতে গণিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় (আইআইটি জ্যাম) ১১৭ র্যাঙ্ক করে নজর কেড়েছেন শীতলকুচির আকাশ আলম। শীতলকুচির লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলায় বাড়ি আকাশের। পরিবারে আছে বাবা, মা ও এক বোন।
কয়েকমাস আগে বোনের বিয়ে হয়েছে। আকাশের বাবা নূর ইসলাম মিয়াঁ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মা রোশনারা বিবি গৃহবধূ। লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মরিচা বাজারে খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী মুড়ি ও ফলমূলের দোকান আকাশের। দোকান করে পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেছেন। আকাশের মতো ওঁর বোন জেসমিন সুলতানাও পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল।
আকাশ ২০১৭ সালে বড় মরিচা দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। এরপর মাথাভাঙা বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ২০১৯ সালে ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০২২ সালে কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজ থেকে ৮৯.৬৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে গণিত বিষয়ে বিএসসি পাশ করেন। আকাশ বলেন, সকালে ও সন্ধ্যায় দোকানে বসি। রাতে যেটুকু পড়ার সময় পাই মন দিয়ে পড়াশোনা করি। ২০২৩ সালে প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেবার ৯১৫ র্যাঙ্ক ছিল। কিন্তু হাল ছাড়িনি। ফের এবছর পরীক্ষায় বসি। এবার রেজাল্ট এলে জানতে পারি সর্বভারতীয় স্তরে ১১৭ র্যাঙ্ক করেছি। আমি ও আমার পারিবার ভীষণ খুশি। মুম্বইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে গণিত নিয়ে গবেষণা করার চিন্তাভাবনা আমার। পড়াশোনা শেষ করে আইআইটিতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু, পরিবারের আর্থিক অবস্থা নেই সেখানে পড়ানোর। কী হবে জানা নেই।
এদিকে, ছেলের ভালো ফল হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আকাশের বাবা-মায়ের। ছেলের পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলাবেন, এই ভাবনাই ঘুম উড়েছে তাঁদের। আকাশের মা রোশনারা বিবি বলেন, ছেলের সাফল্যে আমরা খুশি। আকাশের বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। ছেলে আরও পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু, আমাদের অভাবের সংসার কোনওরকমেই দিন চলে। ছেলে মুড়ি বিক্রি করে নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করছে। ওর পড়াশোনা কীভাবে চালাব তা বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ছেলেন স্বপ্নপূরণ হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনিমেষ রায় জানান, বড় মরিচা দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি আকাশের। গরিব পরিবারে অনেক কষ্ট করেই আজ সাফল্যের কাছে এসেছে ছেলেটি। ওঁর প্রতি শুভেচ্ছা রইল। আকাশ আরও বড় জায়গায় যাক। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আমরা যতটুকু পারি ওঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
কয়েকমাস আগে বোনের বিয়ে হয়েছে। আকাশের বাবা নূর ইসলাম মিয়াঁ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মা রোশনারা বিবি গৃহবধূ। লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মরিচা বাজারে খোলা আকাশের নীচে অস্থায়ী মুড়ি ও ফলমূলের দোকান আকাশের। দোকান করে পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেছেন। আকাশের মতো ওঁর বোন জেসমিন সুলতানাও পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিল।
আকাশ ২০১৭ সালে বড় মরিচা দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। এরপর মাথাভাঙা বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে বিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ২০১৯ সালে ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০২২ সালে কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজ থেকে ৮৯.৬৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে গণিত বিষয়ে বিএসসি পাশ করেন। আকাশ বলেন, সকালে ও সন্ধ্যায় দোকানে বসি। রাতে যেটুকু পড়ার সময় পাই মন দিয়ে পড়াশোনা করি। ২০২৩ সালে প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেবার ৯১৫ র্যাঙ্ক ছিল। কিন্তু হাল ছাড়িনি। ফের এবছর পরীক্ষায় বসি। এবার রেজাল্ট এলে জানতে পারি সর্বভারতীয় স্তরে ১১৭ র্যাঙ্ক করেছি। আমি ও আমার পারিবার ভীষণ খুশি। মুম্বইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে গণিত নিয়ে গবেষণা করার চিন্তাভাবনা আমার। পড়াশোনা শেষ করে আইআইটিতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু, পরিবারের আর্থিক অবস্থা নেই সেখানে পড়ানোর। কী হবে জানা নেই।
এদিকে, ছেলের ভালো ফল হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আকাশের বাবা-মায়ের। ছেলের পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলাবেন, এই ভাবনাই ঘুম উড়েছে তাঁদের। আকাশের মা রোশনারা বিবি বলেন, ছেলের সাফল্যে আমরা খুশি। আকাশের বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। ছেলে আরও পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু, আমাদের অভাবের সংসার কোনওরকমেই দিন চলে। ছেলে মুড়ি বিক্রি করে নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করছে। ওর পড়াশোনা কীভাবে চালাব তা বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ছেলেন স্বপ্নপূরণ হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনিমেষ রায় জানান, বড় মরিচা দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি আকাশের। গরিব পরিবারে অনেক কষ্ট করেই আজ সাফল্যের কাছে এসেছে ছেলেটি। ওঁর প্রতি শুভেচ্ছা রইল। আকাশ আরও বড় জায়গায় যাক। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আমরা যতটুকু পারি ওঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
নিজস্ব চিত্র
