গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জগদীশবাবু বেরিয়ে গেলেই সঙ্গীতা নিজে তৈরি হন। সুতির শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। সিতাইজুড়ে শুরু হয় বুথে বুথে প্রচার। সঙ্গীতা বসুনিয়া সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। সেই সূত্রে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে দারুন সখ্যতা তাঁর। ওই মহিলাদের বাড়ি গিয়ে স্বামীর জন্য ভোট চান তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও স্বামীর হয়ে প্রচার করেছেন। এবারে দায়িত্ব অনেক বেশি। বিগত বিধানসভা ভোটে সিতাই ব্লকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। লোকসভায় যাতে সেই খামতি না আসে সেজন্য জোর সচেষ্ট হচ্ছেন। ঘরের ছেলেকে দিল্লিতে পাঠাতে সিতাইয়ের মানুষ যাতে পিছপা না হন সেজন্য বোঝাচ্ছেন সবাইকে। বাড়িতে বাড়িতে প্রচারে গিয়ে সুপারি খাচ্ছেন। গৃহকর্তার শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার ফাঁকে ভোটের প্রচারও করছেন তিনি। সারাদিন প্রচার করে রাতে বাড়ি ফেরেন। মাঝে ফোনে স্বামী খেয়েছেন কি না জেনে নেন। রাতে স্বামী বাড়ি ফিরলে একসঙ্গে খাওয়ার খান তাঁরা। পরের দিন আবার প্রচাররে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরে এভাবেই স্বামীর সহযোগিতা করছেন সঙ্গীতা। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছে দল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভরসা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। সকালে কুলদেবতার কাছে স্বামীর মঙ্গলকামনা করে দিনের কাজ শুরু করি। সকালে কফি, চা বানিয়ে দিই ওঁকে। মাছের ঝোল আর ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে প্রচারে বেরিয়ে যান উনি। স্বামী বের হলেই সিতাই ব্লকে বাড়ি বাড়ি প্রচার যাই আমি।
সঙ্গীতা বসুনিয়া।-নিজস্ব চিত্র