গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত সোমবার শান্তনুবাবু জেলা পার্টি অফিসে বৈঠক করে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে সিদ্ধান্ত নেন। প্রার্থী করার ওই সিদ্ধান্তের কপি দলের প্রদেশ ও এআইসিসি নেতৃত্বের কাছে ই-মেল করে পাঠিয়েও দেন। তিনজনের নাম পাঠানো হয়েছে। সেই বৈঠকেই মণিকুমার দার্নালকে সভাপতি থেকে অপসারণের দাবিও তুলেছিলেন শান্তনু শিবিরের কং কর্মী-সমর্থকরা।
শান্তনু দেবনাথ বলেন, দলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের দাবি, আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দিতে হবে। কর্মীরা কোনওভাবেই বাম প্রার্থী মিলি ওরাওঁকে সমর্থন করতে চাইছেন না। সেজন্যই প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে বৈঠক করে রেজ্যুলিউশন নেওয়া হয়েছে। তিনজনের নাম প্রদেশ নেতৃত্ব ও এআইসিসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের ৯টি সাংগঠনিক ব্লক। শান্তনু দেবনাথ শিবিরের দাবি, বৈঠকে ৯টি সাংগঠনিক ব্লকের ব্লক সভাপতিদের মধ্যে কেউ যেমন নিজেই এসেছেন, তেমনি কেউ আসতে না পারলেও প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
যদিও মণিকুমার দার্নাল বলেন, প্রদেশ নেতৃত্ব ও এআইসিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে আলিপুরদুয়ার আসন বামফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দলের নির্দেশের বাইরে যেতে পারি না। আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আমি দু’বছর আগেই দলের জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যদিও দল আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিল। তাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
এদিকে, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সিপিএমের জেলা সম্পাদক কিশোর দাস বলেন, রাজ্যস্তরে ফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়ায় আলিপুরদুয়ার আসনটি বামফ্রন্টকে ছাড়া হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীদের সেটা বোঝা উচিত। আরএসপির জেলা সম্পাদক সুব্রত রায় বলেন, দেরি না করে কংগ্রেস নেতৃত্বের উচিত ফ্রন্টের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়া।
প্রসঙ্গত, শান্তনুবাবু এতদিন দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও। মঙ্গলবার জেলা সভাপতি হিসেবে প্রদেশ থেকে চিঠি পান। চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর স্বাক্ষর আছে। শান্তনুবাবু জেলা সভাপতি হওয়ার জন্য তাঁর অনুগামীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে যান তিনি। শান্তনুবাবু বলেন, আমাকে দলের জেলা সভাপতি করা হয়েছে। তার চিঠি পাঠিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।