গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রবিবার গণনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় ক্যাম্পাসে। মূল লড়াই হল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে। শুরুর দিকে এবিভিপি এগিয়ে থাকলেও পট পরিবর্তন হয় রবিবার সন্ধ্যায়। গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বামেরা। রাতে ৫ হাজার ৬৫৬টি ব্যালট কাউন্ট শেষে জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের চেয়ারপার্সন শৈলেন্দ্র কুমার ফলাফল ঘোষণা করেন। দেখা যায়, সভাপতি পদে জয়লাভ করেছেন বাম শিবিরের আইসার প্রার্থী ধনঞ্জয় (২৫৯৮ ভোট)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবিভিপির উমেশচন্দ্র আজমিরা পান ১ হাজার ৬৭৬ ভোট। সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেন এসএফআইয়ের অভিজিৎ ঘোষ (২৪০৯ ভোট)। প্রতিদ্বন্দ্বী এবিভিপির দীপিকা শর্মা পেয়েছেন ১৪৮২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে শেষ মুহূর্তে বাম প্রার্থী স্বাতী সিংয়ের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ‘বাপসা’র প্রিয়াংশী আর্য্যকেই সমর্থন দিয়েছে বামেরা। ২৮৮৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন প্রিয়াংশী। এবিভিপির অর্জুন আনন্দ পান ১৯৬১ ভোট। জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে জয়ী হন মহম্মদ সাজিদ (২৫৭৪ ভোট)। এবিভিপির গোবিন্দ ডাঙ্গি পান ২০৬৬ ভোট।
গণনার শুরুটা বামেদের জন্য মোটেও নিশ্চিন্তের ছিল না। হাজার দু’য়েক ভোট গণনা শেষে দেখা যাচ্ছিল, ছাত্র সংসদের চারটি পদেই এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, প্রথমবার কি জেএনইউ ছাত্র সংসদ দখল করবে এবিভিপি? কারণ সেটা হলে নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘অ্যাডভান্টেজ’ দিত গেরুয়া শিবিরকে। পাঁচ দশক পরে জেএনইউয়ের বাম দুর্গে প্রাথমিক ধসের খবর চাউর হতেই ক্যাম্পাসে উচ্ছ্বাসেও মাতে বিদ্যার্থী পরিষদ। যদিও পরিস্থিতি অচিরেই পাল্টে যায়। স্তিমিত হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের উল্লাসও।