বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
শ্যামবাজার এভি স্কুলে বড়বাজারের তাঁতিয়া হাইস্কুলের পড়ুয়াদের সিট পড়েছিল। স্কুল সূত্রে খবর, এদিন দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ওই স্কুলের কয়েকজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শেষ করে স্কুলের বাইরে চলে আসে। তখনও বহু পরীক্ষার্থীই পরীক্ষা দিচ্ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ১টা ১৫ মিনিটে। এদিকে, স্কুলের বাইরে গিয়ে তখন রীতিমতো উৎসবে মেতে ওঠে এই ছাত্ররা। শব্দবাজি ফাটিয়ে উল্লাস শুরু করে তারা। স্থানীয় লোকজন এবং স্কুলের শিক্ষকরা তাদের বারণ করেন। স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষা চলাকালীনই আমরা প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পাই। বাইরে গিয়ে দেখি তাঁতিয়া হাইস্কুলের কিছু পড়ুয়া চকোলেট বোমা ফাটাচ্ছে। আমরা তাদের বারণ করি। এরই মধ্যেই এক ছাত্র জানালা দিয়ে স্টাফরুমে একটি বড় আকারের চকোলেট বোমা ছুঁড়ে মারে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা স্টাফরুম সহ বিল্ডিংটি। আতঙ্কিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা তখন এদিক ওদিক ছুটে নিরাপদস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বোমা ফেটে সোমা দাস নামে বাংলার এক শিক্ষিকার পায়ে আঘাত লাগে। কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। তিনি পরে জানান, আচমকা এই বোমা ফেলা হয়। আমি সামনে ছিলাম। আমার পায়ে লেগেছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ স্টাফরুমেই ছোঁড়া হল এই বোমা? বাংলার ওই শিক্ষিকার মতে, কয়েকদিন আগে ওই স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া মোবাইল সহ ধরা পড়েছিল। ফলে তাদের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। তারই ‘বদলা’ নিতে এমন আচরণ করা হয়েছে। এভি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবশ্য এ ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে মিডিয়ার সামনে কথা বলা বারণ আছে। তাই কিছু মন্তব্য করব না। এদিকে, এই ঘটনার পর শ্যামপুকুর থানার পুলিস এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তাঁতিয়া হাইস্কুলের শিক্ষকরাও আসেন। দুই স্কুলের মধ্যে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, কোনও অভিযোগ দায়ের করা হবে না। সংসদ অবশ্য তাদের বিবৃতিতে এই ঘটনার কোনও উল্লেখ করেনি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।