বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বাসিন্দাদের কথায়, এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইমারতির মালমশলা সরবরাহের ব্যবসা করেন বাবান বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এলাকার যুব তৃণমূল নেতা হিসেবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। বাবানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত বুনো চক্রবর্তী। তিনিও তৃণমূল কংগ্রেস করেন। এলাকায় সিন্ডিকেট নিয়ে বাবান বনাম বুনোর বিরোধ দীর্ঘদিনের। রবিবার রাতে এই দু’জনের গোষ্ঠীর মধ্যেই তুমুল মারপিট হয়। দু’পক্ষই একে অপর পক্ষের লোকজনের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা, ইট ছোঁড়াছুঁড়ি সহ লাঠি-বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ করেছে। স্থানীয়দের দাবি, দু’জনেরই মাথায় হাত রয়েছে শাসকদলের দুই দাপুটে নেতার। যে কারণে সিন্ডিকেট ব্যবসার নামে যথেচ্ছ কাজ কারবার চালাচ্ছেন তাঁরা।
বাবান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রবিবার রাতে বুনোর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিশু পিবি মিত্তির লেনে বসে জুয়া খেলছিল। সেই খেলা নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়। মারপিটে বিশু আক্রান্ত হয়। এরপরই বুনোর লোকজন পাড়ায় সাধারণ মানুষের বাড়িতে এসে হামলা করে। আমি রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ঢুকে গিয়েছিলাম। কিন্তু গণ্ডগোলের খবর পেয়ে আমি বেহালা থানার বড়বাবুকে ফোন করি। আমি বুনোর লোকজনকে বলেছিলাম, কেন তারা এখানে হামলা করেছে। যাদের সঙ্গে মারপিট, তাদের সঙ্গে বুঝে নিক তারা। কিন্তু সাধারণ মানুষকে কেন মারধর করা হচ্ছে! কিন্তু বুনোর লোকজন তা না শোনায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমিও প্রতিরোধে যাই। আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। তৃণমূলের নেতা হিসেবে সমাজসেবা করি বলে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বাবান নিজের বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে চড়াও হন বুনো এবং তার ঘনিষ্ঠদের উপর। প্রত্যেকেই মত্ত অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ। প্রফুল্ল সেন কলোনির বাসিন্দাদের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় তারা বুনো এবং তার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে চড়াও হন। ওই ঘটনায় সাতজন আহত হন। অনুপম ভট্টাচার্য নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমি ছেলের জন্য খাবার আনতে বেরিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে দেখি, প্রায় আট-দশটা বাইক নিয়ে বাবান আর দলবল হাজির। সবাই মিলে বুনো, বিশু-র নাম করে গালিগালাজ করছে। আমি ওখানে যেতেই কোনও কথা না বলে আমাকেও গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে সবাই মিলে মারতে থাকে। রাস্তায় ফেলে আমাকে লাথি মারা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে আমরা প্রতিবাদ করি। পাড়ার অনেকে বেরিয়ে ওদের চলে যেতে বলি। তাতে বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসার মাঝেই বাবানের লোকজন গুলি চালায়! যদিও বাবান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কোনওভাবে গুলি চালানো হয়নি। এগুলি রটানো হচ্ছে। আমারই দলের কয়েকজনের মাথা ফাটিয়েছে, হাত ভেঙে দিয়েছে বুনোর লোকজন। বুনো চক্রবর্তীর বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের কথায়, এলাকায় শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় সিন্ডিকেট ব্যবসা ক্রমশ বেড়েছে। ফলে একের পর এক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তোলাবাজি এবং সিন্ডিকেটের দাপটে রীতিমতো দিশেহারা তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপির উস্কানি রয়েছে। তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় এতদিন যারা ছিল, তারা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছে। যার জেরেই গোলমাল বাঁধছে।