বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লকগেটে এলাকার ১১জন মেরিন হ্যান্ড কর্মী এই কর্মবিরতি শুরু করে। ওই সময় ‘ক্যাপিটান মাসলোভ’ নামে একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ লকগেট দিয়ে বেরচ্ছিল। খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন সামগ্রী বোঝাই জাহাজটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, মেরিন হ্যান্ড কর্মীরা ওই জাহাজটিকে লকগেট থেকে ফিরিয়ে দেয়। ফলে জাহাজটি ফের বার্থে ফিরে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শুধু এই জাহাজটি নয়, এই রকম আরও ৬টি জাহাজ পণ্যবোঝাই করে বন্দরের বিভিন্ন বার্থে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, বন্দরের বাইরে থার্মাল কোল, ভোজ্যতেল কারখানার কাঁচামাল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলি জাহাজ। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দরে জাহাজ ঢুকতে না পারায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চল সহ রাজ্যের বিভিন্ন কারখানা সমস্যায় পড়েছে।
মেরিন হ্যান্ড কর্মীদের দাবি, হলদিয়া বন্দরে দীর্ঘদিন কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে বিভিন্ন বিভাগে কর্মী সঙ্কট রয়েছে। জাহাজে দড়ি বাঁধার কর্মীরও অভাব রয়েছে। বন্দরের সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, হলদিয়ায় নতুন করে দীর্ঘদিন স্থায়ী পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ আউট সোর্সিং করে কাজ চালায়। গত ডিসেম্বরে পোর্ট ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিটিংয়ে আমরা নতুন করে কর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়েছি।
তবে বন্দরের বিএমএস সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ বিজলি বলেন, সমস্যা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কিছু কর্মী নৈরাজ্য চালাতেই এই কাজ করছে। এটা জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজ এবং রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।
বন্দরের মেরিন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন সাহারায় বলেন, ওই মেরিন হ্যান্ড কর্মীদের দাবি অন্যায্য। ওদের কর্মবিরতির ফলে দু’দিনে বন্দরের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১১জন মেরিনহ্যান্ড কর্মীকে কাজে যোগ না দেওয়ার জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দরে সবমিলিয়ে অতিরিক্ত মেরিন হ্যান্ড কর্মী রয়েছে। যেখানে ৭০জন কর্মী দরকার, সেখানে রয়েছে ১১২জন কর্মী। জাহাজ বাঁধার জন্য পর্যাপ্ত বেতন ছাড়াও সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্রায়ই মেরিনহ্যান্ড কর্মীরা কাজের সময় ঘুমোয়। রবিবারও ডিউটির সময় লকগেটের কর্মস্থলে সমস্ত মেরিন হ্যান্ড কর্মীকে পাওয়া যায়নি, তারা ওই সময় ঘুমচ্ছিল।