বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সূত্রের খবর, গোটা বিশ্বে ‘ট্রেন ১৮’-র মতো ইঞ্জিনবিহীন ট্রেনের দাম প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। যেখানে চেন্নাইয়ের কারখানায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ট্রেনটি বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। দাম এত কম হওয়ার কারণেই ট্রেনটি আমদানি করতে চাইছে একাধিক দেশ। রেল বোর্ডের সদস্য রাজেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘বহু দেশ ট্রেনটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করায় আমরা খুবই খুশি। বিশ্বজুড়ে রোলিং স্টকের প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজার রয়েছে। আমরা তারই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চাই। তবে আপাতত ট্রেনটি সফলভাবে চালানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
সদ্য সেমি হাই স্পিড ট্রেনের ক্লাবে ঢুকেছে ভারত। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতেই হবে ইন্টারন্যাশনাল হাই স্পিড রেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন। সেখানে ‘ট্রেন ১৮’-র সাফল্যকেই তুলে ধরতে চায় রেল। রাজেশ আগরওয়ালের দাবি, মাত্র ১৮ মাসেই চিন্তাভাবনার স্তর থেকে ‘ট্রেন ১৮’-র উত্পাদন প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচ তৈরি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে বছরে ৬৮৫টি কোচ তৈরি হতো, সেখানে বর্তমান অর্থবর্ষে ৪ হাজার ১৬টি কোচ বানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৬ কোচের ‘ট্রেন ১৮’-র যাত্রী বহন করার ক্ষমতা শতাব্দী এক্সপ্রেসের সমান। শুধু তাই নয়, গতি বেশি হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে শতাব্দীর থেকে ১৫ শতাংশ কম সময় নেবে এটি। ফলে আগামীদিনে এই ট্রেনটিই যে শতাব্দীর বিকল্প হয়ে উঠবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত রেল আধিকারিকরা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্রেনটিতে দু’টি এগজিকিউটিভ চেয়ারকার কোচ থাকবে। বিনামূল্যে ওয়াইফাই, জিপিএস, স্বয়ংক্রিয় দরজা, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ শৌচালয় সবই থাকবে এই ট্রেনে।