আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বিশ্বকাপটা দারুণ ভাবেই শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। নিজেদের দক্ষতার সেরাটা মেলে ধরে একটা সময় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল ওরা। কিন্তু টুর্নামেন্ট গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়েছে ওদের পারফরম্যান্স। নিউজিল্যান্ড দলটাকে দেখে আমার দূর পাল্লার দৌড়বিদদের কথা মনে পড়ছে। জোরাল স্প্রিন্ট টেনে শুরু করেও শেষ ল্যাপে গিয়ে দমের অভাবে হাঁপাতে থাকা অ্যাথলিটের দশা হয়েছে কিউয়িদের। লিগের শেষ তিনটি ম্যাচে হেরে মানসিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত ওরা। এটাকেই কাজে লাগাতে হবে ভারতীয় দলকে। আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরুতে ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নিতে পারলে কেন উইলিয়ামসনদের অবশিষ্ট মনোবলটুকুও উবে যাবে। তবে এটাও ঠিক যে, আন্ডারডগ নিউজিল্যান্ড একটা শেষ চেষ্টা চালাবেই। ওরা এই বলে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে যে, হারানোর যখন কিছু নেই, তখন খোলা মনে খেলাটা উপভোগ কর। সেটাই ওদের ছন্দে ফেরার একমাত্র পথ।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং লাইন-আপ ভালোই পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। ট্রেন্ট বোল্ট ও লকি ফার্গুসন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রানও চেক দিচ্ছে। ওরা চাইবে দুই ওপেনার রহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে দ্রুত আউট করে ভারতের মিডল অর্ডারের দুর্বলতা কাজে লাগাতে। বাস্তবে যদি তেমনটা হয়, তবে বিরাট কোহলিকেই হাল ধরতে হবে। বিশ্বকাপে ভালো ফর্মে থাকলেও এ যাবত শতরানের দেখা পায়নি ভারত অধিনায়ক। আমার ধারণা, সেমি-ফাইনালে সেই আক্ষেপটা মিটিয়ে ফেলবে কোহলি। তবে ভারতীয় স্পিনারদের ফর্মে না থাকাটা তাঁর কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করব, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মতো বড় গ্রাউন্ড এবং মার্টিন গাপটিল, রস টেলরদের অফ-ফর্ম চাহাল-কুলদীপদের সাহসী বোলিংয়ের প্রেরণা জোগাবে। টসে জিতলে আগে ব্যাট করে ৩২৫ রান তোলা উচিত। মাথায় রাখতে হবে, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। তিনশোর নীচে রান কিন্তু সুরক্ষিত পুঁজি নয়।