আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ফার্গুসনকে (২৮) যাতে সেমি-ফাইনালে খেলানো যায়, তারজন্য দলের ডাক্তার, ফিটনেস ট্রেনাররা চেষ্টার কসুর করছেন না। কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘আমাদের দলে লকির (ফার্গুসন) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ওর প্রথম বিশ্বকাপ। কিন্তু, প্রতিবার যখনই ও বল করতে আসে, মনে হয় যেন পার্থক্য গড়ে দেবে। ওকে ঘিরে দলের প্রত্যাশা সেরকমই। আশা করি, ভারতের বিরুদ্ধে লকি একইভাবে জ্বলে উঠবে।’
নিউজিল্যান্ডের ওপেনারদের নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। বিশেষত, মার্টিন গাপটিল নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না বলে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। কার্ডিফে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকার পর আর ব্যাটে বড় রান পাননি গাপটিল। কোচের আশা, এবার হয়তো গাপটিল রান পাবেন। গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘একদিনের আন্তর্জাতিকে মার্টিন গাপটিলের একাধিক সেঞ্চুরি রয়েছে। অতীতে বহু ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে। আমাদের, অর্থাৎ দলের সাপোর্ট স্টাফদের কাজই হল গাপটিলের ফোকাস ঠিক রাখা। কে জানে, পরের ম্যাচেই হয়তো গাপটিল ১৫০ রানের একটা ইনিংস উপহার দেবে। আর তারপর আর ওকে নিয়ে এই আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে।’
টানা তিনটি ম্যাচে (পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড) হেরে সেমি-ফাইনালে খেলতে নামছে নিউজিল্যান্ড। স্বভাবতই ভারতের বিরুদ্ধে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামছে কেন উইলিয়ামসনের দল। এটাকেই ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন কোচ গ্যারি স্টিড। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের উপর কোনও প্রত্যাশার চাপ নেই। তাই আমরা চাপমুক্ত ভাবে মরিয়া লড়াই মেলে ধরতে পারব। ভারতের মতো কোয়ালিটি টিমের বিরুদ্ধে খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। আমি শুরু থেকে বলে আসছি, যখনই আমরা ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামব, তখনই নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে আমরা তৈরি।’ গত বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল। তবে পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপে সাতটির মধ্যে ছ’টি সেমি-ফাইনালেই হার মেনেছে কিউয়িরা। গ্যারি স্টিডের আশা, অতীতের রেকর্ড ভুলে মঙ্গলবার ভারতের বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে জিতেই মাঠ ছাড়তে পারবেন উইলিয়ামসনরা। তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচে ভুল করলে দ্বিতীয়বার সুযোগ মিলবে না। তাই, লড়াই মরণ-বাঁচনের। কেউ আশা করছেন না আমার ম্যাচটা জিতব। আর আমাদের সম্পর্কে এই ধারণাই ছেলেদের মধ্যে ভালো খেলার তাগিদটা বাড়িয়ে দেবে। তাই, ভালো কিছু আশা করাই যায়!’