পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
কেন্দ্রীয় কৃষি এবং গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা দালালরাজ বন্ধ করেছি। এখন সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যুক্তও হচ্ছে। একইসঙ্গে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি আইনে (চালু কথায় একশো দিনের কাজ বা মনরেগা) কোথায় কী কাজ হচ্ছে, তার জিওট্যাগ হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, মনরেগারয় কোথায় কী কাজ হয়েছে, তা জিওট্যাগ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তিন কোটি ৬২ লক্ষ কাজ জিওট্যাগ হয়েছে। ২৮৮ কোটিরও বেশি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। তাই কোথায় কী কাজ হচ্ছে তার বিস্তারিত জানা যাচ্ছে।
একইসঙ্গে কৃষি এবং গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানান, মনরেগায় গোটা দেশে ১২ কোটি মানুষ কাজ করেন। তার মধ্যে ১১ কোটির আধার লিঙ্ক হয়ে গিয়েছে। সাত কোটি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক আকাউন্টের আধার লিঙ্ক সম্পূর্ণ। তাই একশো দিনের কাজে কোনও দালাল আর থাকবে না। সরাসরি শ্রমিকের ব্যাঙ্কে টাকা যাচ্ছে। বাজেটে কৃষি এবং গ্রামোন্নয়নের বরাদ্দ নিয়ে ‘ডিমান্ডস ফর গ্রান্টসে’র জবাবি ভাষণেই লোকসভায় একথা জানান তিনি।
তবে ১০০ দিনের কাজকে যে কৃষির সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব বিভিন্ন এমপিরা দিয়েছেন, তা ভালো হলেও এখনই তা গ্রহণ করার মতো অবস্থায় সরকার নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, খেতের কাজের সঙ্গে এখনই একশো দিনের কাজকে যুক্ত করার ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা নেই। তবে গরিব কৃষি জমির মালিকদের যাতে কিছুটা আর্থিক সুরাহা হয়, তার জন্য পিএম কিষাণ প্রকল্পে বছরে ছ’ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, অনেকেই এত অল্প টাকার প্রসঙ্গ তুলে সরকারের সমালোচনা করেছেন ঠিকই। কিন্তু আগে তো কিছুই মিলত না। এখন কিছু তো মিলছে। গ্রাম, গরিব এবং কৃষকই হল মোদি সরকারের অগ্রাধিকার। জানিয়ে দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থানের মতো বিরোধী রাজ্যগুলির নাম না করেও নরেন্দ্র সিং তোমার লোকসভায় বলেন, যেসব রাজ্য এখনও এই প্রকল্পে যুক্ত হননি, তাদের কাছে অনুরোধ এ ব্যাপারে রাজনীতি না করে দ্রুত কৃষকদের নাম পাঠান।
সভায় তখন তৃণমূলের এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অবশ্য কিছু বলেননি। বাজেট প্রসঙ্গে সরকারের কাছে নতুন করে কোনও ব্যাখাও চাননি। তবে রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে একশো দিনের কাজের মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবি করেছেন তৃণমূল এমপি ডা. মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে তৃণমূলের ইস্তাহারে ১০০ দিনের কাজকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার কথা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদেও আমরা সেই দাবি করছি। কাজের দিনের সংখ্যা ১০০ দিনের জায়গায় কমপক্ষে দুশো দিন হোক। এবং দৈনিক মজুরি গোটা দেশেই ৩০০ টাকা করা হোক।