বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রতিযোগিতার বাজারে এখন বড়ই খারাপ অবস্থা বিএসএনএলের। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তারা। কিন্তু নয়া প্রযুক্তিটি তাদের ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে আশা করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। দেশজুড়ে তারা যে পরিকাঠামোর ভোল বদলেছে, তারই সুফল পাবেন গ্রাহক, দাবি বিএসএনএল কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে গুগল থেকে বা হোয়্যাটস অ্যাপ থেকে ফোন কল করা যায়, এক্ষেত্রেও একই সুবিধা মিলবে। বাড়তি পাওনা বলতে, একদিকে যেমন কোনও সিমের ঝঞ্ঝাট থাকবে না, তেমনই অপর প্রান্তের ব্যক্তির কোনও ডেটা খরচের ভয় নেই। এমনকী ইন্টারনেট সংযোগ থাকারই প্রশ্ন নেই। এই পরিষেবায় ল্যান্ডলাইনকে ফের নতুন করে চাঙ্গা করার সম্ভাবনাও থাকবে বলে দাবি করেছে বিএসএনএল।
নয়া প্রকল্প নিয়ে দেশজুড়ে কাজ শুরু করেছে বিএসএনএল। এখানকার কলকাতা সার্কেলের প্রিন্সিপাল জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোটা দেশের অধিকাংশ এক্সচেঞ্জেই পুরনো পদ্ধতি ঝেড়ে ফেলে নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক (এনজিএন) চালু হয়ে গিয়েছে। সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা নয়া প্রকল্প এনেছি। তার প্রচারে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারগুলিকেও পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
গোটা প্রযুক্তিটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কলকাতা সার্কেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) সনৎকুমার আইচ বলেন, মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা যাবে এনজিএন-এ। ফোনে কথা বললে, সেটিও এনজিএন-এ পৌঁছবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিন্তু ওই এনজিএন থেকে যখন তা অন্য যে কোনও মোবাইল ফোনে বা ল্যান্ডলাইনে পৌঁছবে, তখন আর ইন্টারনেটের দরকার নেই। সেই কাজ করে দেবে এনজিএন সিস্টেম নিজেই। এটি করার জন্য গ্রাহককে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। গুগল অ্যাপে বেশ কয়েকটি ‘এসআইপি ডায়ালার’ অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। তারই যে কোনও একটি (যেমন জোইপার অ্যাপ) ডাউনলোড করলে, সেখান থেকে কথা বলা যাবে।
কিন্তু এই পরিষেবায় এখনও সেভাবে গ্রাহক টানতে পারেনি বিএসএনএল। প্রচারের অভাবকেই এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন দপ্তরের কর্তারা। সনৎবাবু বলেন, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কত সহজে এই পরিষেবা নেওয়া যাবে, আমরা সেই বিষয়টিকেই প্রচারে আনতে চাই। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, ইন্টারন্যাশনাল কলের ক্ষেত্রেও এই পরিষেবা কতটা উপকারী। যে কোনও দেশ থেকে উইংসের মাধ্যমে ভারতে কথা বললে খরচ মিনিটে মাত্র ১.২৫ টাকা। আশা করি, আমরা সুফল পাব।