বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মঙ্গলবার প্রায় ৮০টি এলসিও বা লোকাল কেবল অপারেটরের আনা মামলায় আদালত ট্রাইয়ের ২০১৭ সালের ৩ মার্চ জারি করা বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারির পর থেকে এই ব্যবসার বিধিব্যবস্থা বদলে যাওয়ার কথা। এই অবস্থায় ট্রাইয়ের আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত এদিন আদালতে বলেন, যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে, সেই মামলার নোটিস তাঁরা সময়মতো পাননি। যে কারণে, ওই বিজ্ঞপ্তি’র উপর স্থগিতাদেশ জারি হলেও তাঁদের বক্তব্য সেখানে পেশ করার সুযোগ হয়নি। একারণে ওই স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহার করা হোক।
মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়, স্পিড পোস্টে মামলার নথি পাঠানো হয়েছিল। ২৮ জানুয়ারি তা ট্রাই পেয়েছে। তারপর ২৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়েছে। কিন্তু, ট্রাই জানায়, আদালতের নিয়ম অনুযায়ী, নোটিস প্রাপককে অন্তত ৪৮ ঘন্টা সময় না দিয়ে এমন একতরফা শুনানি হতে পারে না। এই যুক্তিতে আদালত সম্মতি দিলে এদিনের শুনানি শুরু হয়। ট্রাই জানায়, এই বিষয়টি নিয়ে দেশের অন্যত্র আগেও মামলা হয়েছে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ট্রাই তার নিজস্ব বিধি অনুযায়ী এমন নিয়মকানুন বানাতে পারে।
এই অবস্থায় যে বিধি অনুযায়ী এমএসও (মাল্টি সিস্টেম অপারেটর) ও এলসিওদের মধ্যে আয়ের অংশীদারিত্ব ঠিক করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ট্রাই জানায়, নয়া বিধির নির্দিষ্ট ধারা (সিডিউল ফাইভ) অনুযায়ী গ্রাহকের থেকে প্রাপ্য অর্থের সিংহভাগ অংশ (প্রায় ৮০ শতাংশ) ব্রডকাস্টার নেওয়ার পর বাকি অর্থের কত শতাংশ এমএসও এবং এলসিওরা পাবে, তা তারা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে পারে। যদি এই ব্যাপারে তারা সহমত না হয়, তাহলে নয়া বিধির নির্দিষ্ট ধারা (সিডিউল সিক্স) অনুযায়ী প্রথমপক্ষ ৫৫ শতাংশ এবং এলসিওরা ৪৫ শতাংশ অর্থ পাবে। এই ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই ব্যবস্থা ‘ইলিউসরি’ (অলীক) কি না, তার ব্যাখ্যা ট্রাইকে দিতে হবে।