গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
(সায়ন, শ্যামল)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এভাবেও ফিরে আসা যায়! মাত্র ছ’দিন আগেই মর্যাদার লড়াইয়ে পাঁচ গোল হজম করেছিল ইস্ট বেঙ্গল। সমর্থকদের রোষের মুখে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন গোলরক্ষক রণিত সরকার। এক সপ্তাহের মধ্যেই উলটপুরাণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহন বাগানকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। রবিবার বারাকপুরের বিভূতিভূষণ স্টেডিয়ামে যুব ডার্বিতে সবুজ-মেরুন বাহিনীকে ২-০ ব্যবধানে হারাল ইস্ট বেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে সায়ন ব্যানার্জি ও শ্যামল বেসরার গোলের পরেই গ্যালারিতে জ্বলল মশাল, উড়ল মুঠো মুঠো আবির। আরও একটি ন্যায্য গোল থেকে বঞ্চিত না হলে তাদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত। তারই মধ্যে সুহেল ভাটের পেনাল্টি সেভ করে ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের দুর্গ অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক গৌরব সাউ।
সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র, চলতি মরশুমে সব পর্যায়েই মোহন বাগানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে ইস্ট বেঙ্গল। ডুরান্ড কাপ ও সুপার কাপে মর্যাদার যুদ্ধে শেষ হাসি হেসেছেন ক্লেটনরা। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও সেই দাপট বজায় ছিল। তবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের গ্রুপ পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে ১-৫ গোলে হার একাধিক প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিল বিনো জর্জের দলকে। তবে কোণঠাসা ইস্ট বেঙ্গল যে সবসময় ভয়ঙ্কর, তা রবিবার আরও একবার প্রমাণ করলেন সায়ন, তন্ময়রা। ম্যাচের শুরু থেকেই মোহন বাগান ডিফেন্সে চাপ বজায় রেখেছিলেন তাঁরা। ৩৯ মিনিটে শ্যামল বেসরার শট ক্রসবারে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও, রেফারি গোল দেননি। তবে ৬২ মিনিটে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন সায়ন ব্যানার্জি। এরপর সংযোজিত সময়ে ২-০ করেন শ্যামল। দু’গোলে পিছিয়ে পড়া মোহন বাগানের সামনে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল। তবে পেনাল্টি থেকে সুহেলের শট দুরন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে রুখে দেন লাল-হলুদ দুর্গপ্রহরী গৌরব। উল্লেখ্য পোর্ট ট্রাস্ট থেকে তাঁকে এবারই সই করিয়েছে মশালবাহিনী। রবিবার রণিতকে বসিয়ে তাঁর উপরে আস্থা রাখে ইস্ট বেঙ্গল থিঙ্কট্যাঙ্ক। কোচ বিনো জর্জ জানান, ‘জাতীয় পর্যায়ে যোগ্যতা অর্জনের জন্য এই জয়টা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। ছেলেরা তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ায় খুশি।’ অন্যদিকে, সবুজ-মেরুন কোচ বাস্তব রায় ছেলেদের আত্মতুষ্টির কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘রক্ষণ নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে। সেটা দ্রুত মেরামত করতে হবে।’
দলের জয়ের দিনেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ থেকেই যাচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল শিবিরে। ন্যায্য গোল বাতিল প্রসঙ্গে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘রেফারিং নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারশেনকে অভিযোগ জানাতে জানাতে কাগজ-কালি ফুরিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’