গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২৫ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে রাসেলই দলকে পৌঁছে দেন রানের পাহাড়ে (২০৮-৭)। না হলে ১৭০-১৮০’তেই আটকে থাকত নাইট বাহিনী। তাহলে শাহরুখের মুখের হাসি উধাও হতো মধ্যরাতে। জবাবে সানরাইজার্স শুরুটা ভালো করলেও বড় পার্টনারশিপ হয়নি। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৩২) ফেরান হর্ষিত রানা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অভিষেক শর্মা (৩২) শিকার হন সেই রাসেলের। বড় রান করতে ব্যর্থ মার্করাম (১৮), রাহুল ত্রিপাঠিও (২০)। তবু চাপা আতঙ্ক ছিল হেনরিখ ক্লাসেনকে (২৯ বলে ৬৩) ঘিরে। তিনি এরকম পরিস্থিতি থেকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। মরিয়া চেষ্টা করেও ছিলেন তিনি। বল হাতে ২৪.৭৫ কোটি টাকার মিচেল স্টার্কের সীমাবদ্ধতাকে ফুটিয়ে তোলেন ক্লাসেন। ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান বাঁ হাতি পেসারকে। সেই ওভারে আরও একটা ছয় মারেন শাহবাজ আহমেদ। শেষ ছয় বলে ১৩ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। হর্ষিত রানার দুরন্ত বোলিংই জেতায় কলকাতাকে। স্টার্কের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনেন তিনি। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ থামে ৭ উইকেটে ২০৪ রানে।
গতবছর চোট সমস্যা ভুগিয়েছিল রাসেলকে। প্রশ্ন উঠেছিল দায়বদ্ধতা নিয়েও। তবু ভরসা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। রাসেল এদিন যেন তারই প্রতিদান দিলেন। কথায় আছে, পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। রাসেল তার বড় উদাহরণ। অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে শক্তিপ্রদর্শনের খেলায় মেতে উঠেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই ইডেনে শাহরুখ খানের উপস্থিতি শুধু দর্শকদের উন্মাদনায় বাড়তি অক্সিজেন জোগায়নি, নাইট শিবিরকেও করে তুলেছিল চাঙ্গা।
কেকেআরের শুরুটা অবশ্য আশানুরূপ হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে ফিল সল্টের ছক্কার হ্যাটট্রিকে যে পূর্বাভাস মিলেছিল, তা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতে সময় লাগেনি। একে একে ফেরেন সুনীল নারিন (২), বেঙ্কটেশ আয়ার (৭) এবং ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার (০)। উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রদর্শনীই যেন চলছিল। নীতীশ রানা (৯) রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। বিনা উইকেটে ২৩ থেকে আচমকাই স্কোর বদলে যায় ৫১/৪। সেই সময় দরকার ছিল উইকেট বাঁচিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সেই কাজটাই করলেন সল্ট (৫৪) ও রমনদীপ সিং (৩৫)। তাঁদের ৫৪ রানের পার্টনারশিপ বদলে দেয় ম্যাচের রং। রিঙ্কু সিং নামতেই গর্জে ওঠে গ্যালারি। পাঁচ ছক্কায় দলকে জেতানোর নায়ককে ঘিরে প্রত্যাশা যে এখন অনেক বেশি। কিন্তু দিনটা রাসেলের। তিনি ব্যাট চালানো মানেই চার-ছক্কা। কখনও কখনও মনে হচ্ছিল, তিনি যেন মানবরুপী যন্ত্র। না হলে স্ট্রাইক রেট ২৫৬ হয়!