গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুরেশ পাক্কা বেওসায়ি। বড়বাজারের ফুটপাথে পান-বিড়ি-গুটখার গুমটি আছে তাঁর। উপরি উপার্জনের জন্য এবারই প্রথম বেগুনি আবির বিক্রি। নাইটদের প্রথম ম্যাচে শাহরুখ খান আসবেন জেনে তাঁরই ডায়লগ কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন। কাজও হল দিব্যি। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বিশ প্যাকেট আবির হুশ করে বিক্রি হয়ে গেল। সুরেশের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি। প্রতি প্যাকেটের দাম যে তিরিশ টাকা। নাইট অনুরাগীরা তা কিনে প্যান্টের পকেটে কিংবা মোজার ভিতর নিয়ে গ্যালারিতে হাজির। জিতলেই দোলের আগাম সেলিব্রেশনে মাততে হবে যে!
খেলা শুরুর ঠিক আধঘণ্টার মাথায় বিশেষ বক্সে প্রথমবার দেখা গেল কিং খানকে। ততক্ষণে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছে নাইটদের। তবে সেই হতাশার ছাপ নেই তাঁর মধ্যে। ফেডেড জিন্স, সাদা টি-শার্ট, বসন্তের সন্ধ্যায় কালো রোদচশমা— মুহূর্তের হাত নাড়ানোর মাধ্যমেই এসআরকে বোঝালেন, ‘ম্যায় ইহাঁ হুঁ, ইহাঁ হুঁ, ইহাঁ...’
মাঠে ঢুকেই প্রতিবারের মতো নাইট সমর্থকরা হাতে তুলে নিয়েছেন চেয়ারের পাশে রাখা বেগুনি পতাকা। প্রিয় দল টস হেরে ব্যাটিং করবে যে। উৎসাহ তাই আকাশচুম্বী। উপরি পাওনা শাহরুখ দর্শন। ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও তাঁদের আবির ওড়ানোর সুযোগ করে দিলেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ২৫ বলে তাঁর অপরাজিত ৬৪ রানই নাইটদের পৌঁছে দিল ডাবল সেঞ্চুরির ওপারে। ইনিংস বিরতিতে তাই ইডেনের ইতিউতি ছড়িয়ে পড়ল বেগুনি আবির। সমর্থকদের মতো রাসেলের ইনিংসে মুগ্ধ শাহরুখও। ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের অভিবাদনে তাঁর হাততালির ছবি বন্দি হল আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায়।
নাইটদের ২০৮ রানের জবাবে একটা সময় দুরন্ত লড়াই মেলে ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন। এই পর্বে কিছুটা মনমরা দেখাল কলকাতাপ্রেমীদের। দুশ্চিন্তায় ছিলেন কিং খানও। তবে শেষ পর্যন্ত ২০৪ রানে নিজামের শহরের দল থামতেই তাঁর মুখে হাসি ফুটল। জয়ের পর মাঠে নেমে ক্রিকেটারদের জড়িয়ে ধরে আবেগেও ভাসলেন শাহরুখ। ম্যাচ শেষে আবির মেখে বাড়ির পথ ধরা সমর্থকদের মুখে ঘুরেফিরে এল সেই স্লোগান, ‘করব, লড়ব, জিতব রে’।