আমেদাবাদ: রোহিত শর্মার নেতৃত্বে পাঁচবার আইপিএল জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবুও তাঁর উপর এবার আস্থা দেখাতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। আচমকা হিটম্যানকে সরিয়ে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে। তবে রোহিতের জুতোয় পা গলানো হার্দিকের কাছে কাঁটার মুকুট পরার সমান। সামান্য ভুলচুক হওয়া মানেই ধেয়ে আসবে সমালোচনার ঝড়। বিদ্ধ হতে হবে তীব্র শ্লেষে। তবে ভুললে চলবে না, অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক কিন্তু প্রথমবারই গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আর গতবার তাঁর নেতৃত্বে রানার্স হয়েছিল গুজরাত। সেই কারণেই রোহিতের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হার্দিককে। কিন্তু গুজরাতের অধিনায়কত্ব করা আর মুম্বইকে নেতৃত্ব দেওয়া এক ব্যাপার নয়। বাণিজ্যনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অতীত রেকর্ড ও প্রত্যাশার চাপ হাড়ে হাড়ে টের পাবেন তিনি। তার উপর নেতার আসন থেকে রোহিতের অপসারণ দলের অন্দরেও তৈরি করেছে অসন্তোষ। সে সব সামাল দিয়েই দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে হার্দিককে। তাই তাঁর সামনে এবার অন্য পরীক্ষা।
রবিবার মোতেরায় চব্বিশের আইপিএলে অভিযান শুরু করছে মুম্বই। প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্স। হার্দিকের বিদায়ে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন শুভমান গিল। ভারতের এই তরুণ তুর্কি নেতৃত্বের চাপ সামলে কতটা নিজেকে মেলে ধরতে পারেন, সেদিকে নজর থাকবে। একই সঙ্গে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন রোহিত শর্মা। নেতৃত্ব হারানোর আক্ষেপ মেটাতে ব্যাট হাতে তাঁর ঝড় তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এই গুজরাতের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মুম্বইয়ের। তাই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে এই ম্যাচ বদলারও।
মুম্বই এই ম্যাচে পাচ্ছে না সূর্যকুমার যাদবকে। তাই রোহিত শর্মা, ঈশান কিষান, টিম ডেভিড, তিলক ভার্মাদের নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। তফাত গড়ে দিতে পারে হার্দিকের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। তবে গোড়ালির চোটের কারণে দীর্ঘদিন তাঁকে থাকতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। আইপিএলে ফিরছেন। প্রথম ম্যাচ থেকেই বল করেন কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে। আগুন ঝরাতে তৈরি যশপ্রীত বুমরাহও।
গুজরাতের ব্যাটিং অনেক বেশি গিল নির্ভর। তবে পাওয়ার প্লে’তে ঋদ্ধিমান সাহা দ্রুত রান তুলতে পারেন। মিডল অর্ডারে আছেন কেন উইলিয়ামসন। গুজরাতের প্রধান শক্তি অবশ্য একাধিক ফিনিশারের উপস্থিতি। ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াটিয়া, শাহরুখ খান, রশিদ খানরা কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করতে সক্ষম। বোলিংয়ে অবশ্য মহম্মদ সামির অভাব ভোগাতে পারে গুজরাতকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে উমেশ যাদব, মোহিত শর্মার কাঁধে গুরুদায়িত্ব। তবে রশিদ খান ও নুর আহমেদের উপস্থিতিতে স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী। সব মিলিয়ে রবিবাসরীয় মোতেরায় অপেক্ষা করছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।