গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিনের বাড়ি সাঁইথিয়ার ফুলুরের বহরাপুরে। কিন্তু তিনি পরিবার নিয়ে সিউড়ি শহরের লালকুঠি পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। মহম্মদবাজারে পাথর কেনাবেচা, জমি বিক্রি থেকে ক্র্যাশারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই কারণে একাধিক পাথর ব্যবসায়ী থেকে জমির দালালদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে একটি ফোন আসার পরই স্কুটি নিয়ে সালাউদ্দিন মহম্মদবাজারের দিকে চলে যান। তারপর থেকে বাড়ির সদস্যরা ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। ফোন সুইচ অফ বলছে। এনিয়ে সিউড়ি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সালাউদ্দিনের ভাই সামিম আক্তার খান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিস অভিযোগ পেয়ে মহম্মদবাজারের পাথর খাদান থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করে। একাধিক জায়গায় সন্ধান চালানো হয়। সিসিক্যামেরা ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু পাঁচদিন ধরে তাঁর সন্ধান মিলছে না। অনেকের সন্দেহ, হয়তো তাঁকে তাঁরই সহযোগী ব্যবসায়ীরা অপহরণ করেছে। কিংবা কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কোনও সমস্যার জেরে এই কাণ্ড হতে পারে।
আবার একাংশের অনুমান, সালাউদ্দিনকে ঝাড়খণ্ড নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু অপহরণের যুক্তি কিছুতেই মানতে রাজি নন জেলা পুলিসের দুঁদে অফিসাররা। সেক্ষেত্রে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসত বলে দাবি তাঁদের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস অফিসার বলেন, কী কারণে নিখোঁজ সেটা পুরো ঘটনা সামনে না আসা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। মহম্মদবাজারের পাথর খাদানগুলিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সিউড়ি থানায় একাধিক পাথর ব্যবসায়ীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।