গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, এখানে দলের সংগঠন এখন আরও জোরদার হয়েছে। গত পুরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো করেছে। ২৫টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী। এখানে বিজেপির মাত্র ১ জন কাউন্সিলার আছে। এছাড়াও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে মহুয়া মৈত্র ছোট বড় একাধিক মিছিল মিটিং করে গ্রামের পর গ্রাম চষে ফেলেছেন। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজবাড়ির কর্ত্রী অমৃতা রায়। তবে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যখন থেকে তাঁর নাম উঠেছে, তখন থেকেই তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালিখি চলছে। সেখানে রাজবাড়ির বর্তমান কর্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ্যে টিপ্পনি কাটা হয়েছে।
এ নিয়ে কৃষ্ণনগর তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, আমরা কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। বিজেপি যাঁকে প্রার্থী করেছে, কৃষ্ণনগরে তাঁর কী অবদান আছে? রাজপরিবারের থেকে প্রার্থী হওয়াটা এখানকার মানুষ ঠিক মেনে নিতে পারছেন না। মহুয়া মৈত্রের নির্দেশ মতো আমরা কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় ১ এপ্রিল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করব।
প্রসঙ্গত দু’দিন আগে কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক মিটিং করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরে পুর এলাকার ২৫টি ওয়ার্ডের ১৪৬টি বুথের সভাপতি ও ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে আলোচনা হয়। সেই অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে প্রচারের কৌশল নির্ধারিত হয়। পুরসভা, মহুয়া মৈত্র, মুখ্যমন্ত্রী কী কী উন্নয়ন করেছেন, সেগুলো নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তাঁর এমপি ফান্ডের টাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়ন হয়েছে কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকাতেও। সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক খুশি সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে কেন্দ্রের একশো দিনের টাকা না দেওয়া, আবাস সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের উপর মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক ভোটে লিড পাবে।’
বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, ওঁদের পরিবারের অবদান অবশ্যই আছে। ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। কিন্তু নদীয়া জেলা তিনদিন পূর্ব পাকিস্তানে ছিল। এই পরিবারের রানি জ্যোতির্ময়ী দেবী আর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্য আমরা ভারতভুক্ত হয়েছি। মলয়বাবুরা সেটা জানেন না। তাঁরা না থাকলে ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে থাকতে হতো।