শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন বিকেলে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে লোকজন মিছিল করে প্রথমে শহরের টাউন হল ময়দানে জড়ো হন। তারপর বিকাল ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ সেখান থেকে মহামিছিল শুরু হয়। এদিনের মহামিছিলে উদ্বাস্তু মানব কল্যাণ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস, জেলার যুব সভাপতি সুভাষ মণ্ডল, জেলার কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডু সহ অনেকেই পা মিলিয়েছিলেন। টাউন হল থেকে ওই মহামিছিল কার্জন গেট হয়ে বিসি রোডে ঢুকে পড়ে। তারপর বিসি রোড বরাবর গিয়ে উত্তর ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। এনআরসি’র বিরুদ্ধে উপস্থিত নেতারা সেখানে বক্তব্য রাখেন। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এদিনের মহামিছিল কার্যত জনপ্লাবনে পরিণত হয়। তাই ভিড় সামাল দিতে পুলিসকেও হিমশিম খেতে হয়। তবে, এদিনের মিছিলে যে ভিড় হবে তা আগে থেকেই আঁচ করেছিল পুলিস। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মিছিল শুরুর আগে থেকেই প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন, উদ্বাস্তু মানব কল্যাণ পরিষদের তরফে এই মহামিছিল হয়েছে। সেখানে আমরাও উপস্থিত ছিলাম। এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মহামিছিল। অন্যদিকে, এদিনের মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এনআরসি ইস্যুর নামে বিজেপি দেশের মানুষকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করছে। যাঁরা আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে বসবাস করছেন আজ তাঁদেরকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর চক্রান্ত হচ্ছে। বিজেপির হাত থেকে হিন্দু-মুসলমান কেউই রক্ষা পাবেন না। অসমের লক্ষ লক্ষ হিন্দুকেও উদ্বাস্তু করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সিপিএম উদ্বাস্তুদের জন্য কিছু করেনি। উল্টে উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ওরা গুলি চালিয়ে শরণার্থী হত্যা করেছে। আমাদের মানবিক নেত্রী সবার জন্য লড়াই করছেন। এনআরসি নিয়ে মাঠে নেমে লড়াই করছেন। কোনও মানুষকে যাতে নিজেদের দেশে উদ্বাস্তু হতে না হয়।