ওয়াশিংটন, ১১ জুলাই (এএফপি): শরণার্থী এক মহিলার দুগ্ধপোষ্য শিশুকন্যার মৃত্যুতে কাঠগড়ায় উঠল মার্কিন প্রশাসন। নিন্দায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যও। বুধবারই মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হয়ে নিজের শিশুকন্যাকে হারানোর যন্ত্রণা উগরে দেন গুয়েতামালার ওই শরণার্থী মহিলা ইয়াজমিন জুয়েরেজ। তাঁর অভিযোগ, ‘সীমান্তে উদ্বাস্তু শিবিরে চরম নিষ্ঠুরতার কারণেই বাঁচাতে পারিনি আমার মেয়েকে। আমাদের ধরে এনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল হিমশীতল একটি খাঁচায়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আইসিই সেন্টারে। যাওয়ার পথেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আমার ১৯ মাসের মেয়ে। আমি তার প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছি সবার কাছেই। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কেউই আমার আবেদন শোনেননি।’ শেষপর্যন্ত আইসিই সেন্টার থেকে অসুস্থ মেয়ে মেরিকে নিয়ে ছাড়া পান জুয়েরেজ। ততক্ষণে মেরির অবস্থা আরও কাহিল হয়েছে। জুয়েরেজের কথায়, ‘সঙ্গে সঙ্গেই মেরিকে নিয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে আর আমার কোলে ফিরিয়ে আনতে পারিনি।’
মেরির মৃত্যু আমেরিকার উদ্ধাস্তু শিবিরগুলির বাস্তব চেহারাই তুলে ধরেছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবারই মেরির মৃত্যু নিয়ে নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির শীর্ষকর্তা মিচেল ব্যাসেলেট। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। আমেরিকার উদ্বাস্তু কিংবা শরণার্থী শিবিরগুলি ঠিকঠাক নেই।’ মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি জোয়াকিন কাস্ত্রোও মেরির মৃত্যুতে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। শিবিরগুলির অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘মেরির মৃত্যু প্রমাণ করে সরকারের মদতে শিশু নির্যাতনের মাত্রা বৃহত্তর পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে।