বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দিদি আমাকে মনোনীত করেছেন। এরজন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। বসিরহাটের মানুষ নায়িকা হিসেবে আমাকে যে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ দিয়েছেন, আমি চাইব প্রার্থী হিসেবেও আমি তা পাব। সিনেমায় যেমন আমি সমাজের ভালো করার জন্য দর্শককে মেসেজ দিই, রাজনীতিতে জিতলে, আমি সেই কাজটাই হাতেকলমে করব। তবে নুসরতের দাবি, তিনি আগে জানতেন না, তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই তিনি তা জানতে পারেন। আপাতত তিনি প্রতিপক্ষ বিজেপি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, রাজনীতি ও সিনেমাকে পাশাপাশি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। আপাতত বসিরহাট জয় করাই তাঁর মূল টার্গেট। ‘খিলাড়ি’ বা ‘যোদ্ধা’ খ্যাত নুসরত কতটা বেগ দেবেন বিরোধীপক্ষকে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলা জুড়ে।
এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই সন্ধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে পড়েন মিমি চক্রবর্তী। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কাউন্সিলারদের সঙ্গে যাদবপুর ৪৫ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে পদযাত্রায় ভোটের দামামা বাজিয়ে দেন মিমি। পায়ে স্নিকার ও গলায় দলীয় উত্তরীয় জড়িয়ে তিনি সগৌরবে ঘোষণা করেন, ‘আমি রেডি’। ছোট্ট একটু হাঁটা পথে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিমিও অবশ্য নুসরতের মতো জানিয়েছেন, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা তাঁর কাছেও সারপ্রাইজ ছিল। এর জন্য তিনিও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, তা জানাতে ভোলেননি। তবে ‘মাল্টিটাস্ক’-এ পারদর্শী মিমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন, আমি সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতির এই কাজটুকুও করতে পারব। তবে সবাইকে পাশে থাকতে হবে। সিরিয়ালের হাত ধরে পরিচিত হলেও, মিমির প্রথম সিনেমা ‘বাপি বাড়ি যা’ তাঁকে তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। এবার রাজনীতিতে তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে সেই আপ্তবাক্য কতটা জোরে ছুঁড়তে পারেন, তার জন্য অধীর আগ্রহে থাকবে যাদবপুর।