বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রুপোলি পর্দাকে কী অনায়াস দক্ষতায় সংসদ ভবনে তুলে আনা যায়, এ রাজ্যের রাজনীতিতে তা প্রথম দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের টিকিট দিয়ে গতবার সংসদে পাঠিয়েছিলেন দেব, মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়দের। তারও আগে থেকে ছিলেন শতাব্দী রায় এবং তাপস পাল। কেরিয়ারের শীর্ষে থেকেও নির্বাচনে লড়াই করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন দেব তথা দীপক অধিকারী। সেই তালিকায় এবার ঢুকেছেন যাদবপুরে টিকিট পাওয়া মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের প্রার্থী নুসরত জাহান। তাঁরা বাংলা বানিজ্যিক ছবিতে নিয়মিত মুখ। তাও এই ঝুঁকি নিতে তাঁরা রাজি হয়েছেন।
অন্যদিকে, কোচবিহারে টিকিট পাওয়া পরেশ অধিকারী ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক থাকাকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূলে আসেন। দার্জিলিং আসনটিকে এবার নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া তৃণমূল। সেই কারণে প্রার্থীও দিয়েছে জোরদার। এখানে টিকিট পাওয়া অমর সিং রাই এক সময় সুবাস ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ-এর টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তারপর যান বিমল গুরুংদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায়। সেখানে গিয়েও সফল তিনি। শেষ পর্যন্ত বিনয় তামাংদের হাত ধরে মোর্চা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। অধ্যাপক তথা দার্জিলিং পুরসভার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যানের স্ত্রী আবার বাঙালি। মমতা এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, পাহাড়ের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাবেন তিনি। ঝরঝরে বাংলা বলতে পারা অমর রাইও তৃণমূলের কাছে অনেকের চেয়ে ভরসাযোগ্য প্রার্থী।
এক সময় রাহুল গান্ধীর অন্যতম সহযোগী, চোস্ত ইংরেজি বলিয়ে এবং সুবক্তা হিসেবে পরিচিত মহুয়া মিত্র এবারই প্রথম কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি বর্তমানে করিমগঞ্জের বিধায়ক। এক্ষেত্রে তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তিনি জিতলে সংসদে তৃণমূলের বক্তব্য আরও জোরালো হবে বলে আশা করছে দল। মানস ভুঁইঞাকে রাজ্যসভার সদস্য করে গতবারই পার্লামেন্ট পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দল এবার তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জনতার ভোটে জিতিয়ে আনতে চায়। সেই হিসেবে মানসবাবুও এই তালিকায় নতুন।
খুন হওয়া কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাসকে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। এখনও তাঁর ২৫ বছর হয়নি। কিন্তু ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয় বয়স হয়ে যাবে বলে জানান মমতা। আদিবাসী আন্দোলনের নেতা রবিন টুডুর স্ত্রী বীরবাহা সোরেন (টুডু)-কে ঝাড়গ্রামে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। দলের অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে গেল তাঁর। কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান মালা রায় আগে কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ালেও তৃণমূলের টিকিটে এবারই প্রথম লড়ছেন। নতুন মুখের তালিকায় একইরকম ভাবে মুর্শিদাবাদে টিকিট পাওয়া আবু তাহের, জঙ্গিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী খলিলুর রহমান, বহরমপুরে টিকিট পাওয়া অপূর্ব সরকার, বোলপুরে কংগ্রেসের এক সময়ের ডাকসাইটে নেতা অসিত মালরাও রয়েছেন। লোকসভার প্রার্থী তালিকায় নতুন করে ফিরে এসেছেন বাঁকুড়ায় টিকিট পাওয়া তৃণমূল মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রায়গঞ্জে টিকিট পাওয়া কানাইলাল আগরওয়াল, সদ্য তৃণমূলে আসা মৌসম বেনজির নুররাও নতুন মুখ হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী।