ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত বালকের নাম রমজান শেখ(১২)। তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরে। সে মানিকচকের মণ্ডলপাড়ায় আত্মীয় বাড়িতে এসেছিল। জখমদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা। গ্রামবাসীদের ভুলের জন্য বাড়িটি ধসে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে বাড়ির মালিকের কোনও গাফিলতি নজরে পড়েনি। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও দায়ের করেনি। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
উল্লেখ্য, মালদহ জেলাজুড়ে মঙ্গলবার রীতি মেনে মহরম পালন হয়। এরজন্য গত একমাস ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি চলে। এক গ্রামের লোকজন অন্য গ্রামে গিয়ে লাঠিখেলা দেখান।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এইরকমই একটি দল দক্ষিণ মণ্ডলপাড়ায় যায়। গ্রামের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গায় লাঠিখেলার মহড়া শুরু হয়। তা দেখতে সেখানে গ্রামবাসীদের ঢল নামে। ফাঁকা জায়গার পাশে একটি দোতলা বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছিল। রাতে অনেকেই ওই বাড়ির ছাদ ও কার্নিসে উঠে পড়ে। সেখানে শিশু এবং মহিলাদের সংখ্যা বেশি ছিল। ভিড়ের চাপে বাড়ির কার্নিসের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ জাভেদ বলেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে এলাকায় লোডশেডিং হয়ে যায়। তারই মধ্যে আমরা কিছু একটা ভেঙে পড়ার শব্দ শুনি। সকলে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। এরমধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসে। দেখা যায়, নির্মীয়মাণ বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার তলায় কয়েকজন শিশু এবং মহিলা চাপা পড়ে কাতরাচ্ছেন। আমরা দ্রুত ইট এবং সিমেন্টের চাঙর সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করি। জখমদের প্রথমে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিক্যালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজানকে মৃত ঘোষণা করেন। চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট রয়েছে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে মহম্মদ সামিউল ও মহম্মদ রাজেশ বলেন, ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জখমদের সবরকম চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা মহরম পালনের কিছু কর্মসূচি কাটছাঁট করেছি। আমরা জখমদের পাশে রয়েছি। ঘটনার রাতে মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জখমদের চিকিৎসার তদারকি করেন।