ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ধৃতকে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলে বনদপ্তর। আদালত ধৃত ভুটানের সেনা কর্মীকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য এদিন আদালতে বনদপ্তর অবশ্য কোনও আবেদন করেনি।
এবিষয়ে বনদপ্তরের বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয়বাবু বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেহেতু বৈদেশিক বিষয় জড়িয়ে আছে সেই জন্য ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য এদিন আদালতের কাছে আমরা কোনও আবেদন করিনি। জেলা প্রশাসন বিষয়টি আগে ভারতে নিযুক্ত ভুটানের হাই কমিশনারকে জানাবে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ধৃতকে আমরা নিজেদের হেফাজতে নেব।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, হাসিমারায় চিতাবাঘের চামড়াসহ ভুটানের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি জলপাইগুড়ি বনদপ্তর দেখছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটানের মঙ্গন এলাকা থেকে চিতাবাঘের চামড়াটি নিয়ে আসা হয়েছে। মোটা টাকা পাওয়ার লোভে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত এলাকা জয়গাঁ দিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে চিতাবাঘের চামড়াটি নেপালে পাচারের পরিকল্পনা ছিল ধৃতের।
বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মায়ানমার, মণিপুর ও নাগাল্যান্ড থেকে বাইরের দেশে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের জন্য দুষ্কৃতীরা অনেক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গকে ব্যবহার করছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে, ভুটানের মঙ্গন থেকে একটি গাড়িতে করে একটি ব্যাগের মধ্যে পুড়ে চিতাবাঘের চামড়াটি নিয়ে ধৃত ব্যক্তি প্রথমে জয়গাঁয় এসেছিল। ধৃতের সঙ্গে তার দুইজন সঙ্গীও ছিল। জয়গাঁতে এসে তারা গাড়িটি ছেড়ে দেয়। এরপর জয়গাঁ থেকে একটি টোটো ভাড়া করে দুষ্কৃতীরা হাসিমারায় পৌঁছয়।
হাসিমারাতে আগে থেকেই সাদা পোশাকের বনকর্মীরা ফাঁদ পেতেছিলেন। টোটোটি হাসিমারাতে পৌঁছতেই বনকর্মীরা দুষ্কৃতীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। চিতাবাঘের চামড়া ভর্তি ব্যাগটি ছিল দাওয়া শেরিংয়ের কাঁধে। বনকর্মীরা দাওয়া শেরিংকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও তার দুই সঙ্গী সুযোগ বুঝে চম্পট দেয়।