ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সোমবার আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আলিপুরদুয়ার পুর এলাকা ও শহরতলির পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে আসন্ন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পুজো কমিটিগুলির আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
শহরবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর পুজোর সময়ে ভিড়ের সুযোগে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ে পুর এলাকায়। স্বভাবতই আলিপুরদুয়ারের বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় বেশি হয়। আর সেই ভিড়ের সুযোগ নেয় ইভটিজার ও পকেটমাররা। প্রতি বছরও ইভটিজিং ও পকেটমারি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় এবার আঁটঘাট বেঁধে নামতে চাইছে পুলিস। এবারই প্রথম আলিপুরদুয়ারে পুজো মণ্ডপগুলিতে ইভটিজিং ও পকেটমারি রুখতে জেলা পুলিস স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিসের সাদা পোশাকের ওই বিশেষ বাহিনী ফাঁদ পেতে থাকবে।
এদিন বৈঠকের পর পুলিস সুপার সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, শহরের বড় বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড়ের সুযোগে ইভটিজিং ও পকেটমারির মতো ঘটনা ঘটার একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেসব দুষ্কর্ম রুখতে পুলিসের সাদা পোশাকের একটি স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। পুলিসের এই বিশেষ বাহিনীতে থাকছেন মহিলা পুলিস কর্মীরাও। এই বিশেষ বাহিনীতে কত জন পুলিস কর্মী থাকবেন এখনই তা বলা সম্ভব নয়। এব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা চলছে।
এদিন ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনার স্বাগত ভাষণ দিয়ে বৈঠক শুরু হয়। পুজো বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি, মহকুমাশাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ এবং বিদ্যুৎ, দমকল ও পুলিসের ট্রাফিক বিভাগসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্তারা। বৈঠকে পুজো উদ্যোক্তারা পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে তাঁদের নানা সমস্যা ও অভিযোগের কথা তুলে ধরেন ।
এদিন বৈঠকে পুজোর অনুমতির জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের ১২ দিন সময় দিয়েছে প্রশাসন। পুজোর জন্য মহকুমাশাসকের অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এদিকে, ভিড়ের মধ্যে দুষ্কর্ম রোখার পাশাপাশি শব্দদূষণ রোধেও কড়া হচ্ছে পুলিস। গত বছর তারস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগে পুর এলাকার ছ’টি পুজো কমিটির ডিজে বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিস। এদিনের বৈঠকে পুজো উদ্যোক্তাদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে মণ্ডপে কোনওভাবেই বড় বড় সাউন্ড বক্স রাখা যাবে না। পুজো মণ্ডপে সাউন্ড বক্স থাকলেও ৯০ ডেসিবেলের থেকে বেশি তীব্রতায় সেসব বাজানো যাবে না।
এদিন বৈঠকের পর প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, খুব শীঘ্রই শহরের পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তাদের হাতে রাজ্য সরকারের ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শহরে ৩০টি মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটি আছে। সেই মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলি পাবে ৩০ হাজার টাকা ।