সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বসেছিল জলবায়ু সম্মেলন। কয়লা বা খনিজ তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং পরমাণু জ্বালানির মতো পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যে চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা হয়। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ১৮৮টি দেশ। ট্রাম্পের পূর্বসূরি বারাক ওবামা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চুক্তি সফল করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আমেরিকা। সোমবার চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার নোটিস দেওয়ার পরে পম্পেও বলেন, ‘আমেরিকা সব সময়ই বলে এসেছে, সমস্ত রকম জ্বালানি এবং প্রযুক্তি যথাযোগ্যভাবে ব্যবহার করা উচিত। এরমধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং পরমাণু জ্বালানিও পড়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনায় আমরা জ্বালানি ব্যবহারের বাস্তবসম্মত এবং প্রয়োগধর্মী ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলব। উদ্ভাবনী এবং খোলা বাজারের মধ্যেই বৃহত্তর উন্নয়ন, কম কার্বন নিঃসরণ এবং আরও নিরাপদ জ্বালানি ব্যবহারের সাফল্য লুকিয়ে রয়েছে।’
তবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর ডেমোক্রেটিক পার্টি। হাউস স্পিকার ন্যান্সি পাওয়েল বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সঙ্কট আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের সর্বত্র প্রত্যেক ধর্মের, প্রত্যেক পরিবারের মানুষ এখন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞান বিরোধী, সরকার বিরোধী। এরফলে আমাদের এই গ্রহ এবং আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বিক্রি হয়ে গেল।’