গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিন্তু নাছোড়বান্দা ওই বন্দিরা বলে, ‘আরে দাদা, মন খারাপ করলে চলবে? দোলের দিন একটু রং‑আবির খেলা হবে না, এটা কি হয়?’ কিন্তু প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর চোখে‑মুখে ভয়ানক বিরক্তিভাব ফুটে ওঠায় আর কথা না বাড়িয়ে তারা কেটেই পড়ে। তবে যাওয়ার সময় ফের বলে ওঠে, ‘দাদা হ্যাপি দোল’!এসব শুনেই ছুটে আসেন কয়েকজন কারারক্ষী। তাঁদের দেখেই ক্ষোভের সঙ্গে পার্থ ও বালু বলেন, ‘এসব কী হচ্ছে? দেখার কেউ নেই!’ কাঁচমাচু হয়ে কয়েকজন কারারক্ষী বলেন, ‘ঠিক আছে, আপনারা শান্ত হন। আমরা বিষয়টি দেখছি।’ দুই প্রাক্তন মন্ত্রী যখন ক্ষমতাসীন ছিলেন তখন এই বিশেষ দিনটিতে তাঁদের ঘিরে থাকতেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। সরকারি দপ্তরের কর্মীরাও তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেন আবির‑ফুল-মিষ্টি দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এখন তাঁরা দু’জনেই জেলবন্দি। দু’জনের মধ্যে পার্থ জেল হেফাজতে আছেন দীর্ঘদিন। অন্যদিকে, অসুস্থ বালুও কয়েকবার চেয়েও জামিন পাননি। সব মিলিয়ে দু’জনেই ভীষণ বিরক্ত। এমন পরিস্থিতিতে দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস না-থাকাটাই স্বাভাবিক। আর তারই মধ্যে আচমকা কয়েকজন বন্দি তাঁদের আবির মাখাতে গিয়েছিল! ভালোভাবে নেননি দোর্দণ্ডপ্রতাপ দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর কেউই।