গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অনেক স্কুলে হলঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ভাতারে একটি মাদ্রাসার পরিকাঠামো উন্নতির জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলাম। সেটা ওরা নেয়নি। উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স দিতে চেয়েছিলাম। চালকের অজুহাত দেখিয়ে সেটাও তারা নিতে চায়নি। সেকারণে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছি। রক্ত সংগ্রহের জন্য একটা বাস দেওয়া হয়েছে। এই বাসের মধ্যেই দাতারা রক্ত দিতে পারবেন। একসঙ্গে ছ’জনের রক্ত সেখানে নেওয়া যাবে।
শালডাঙায় নেতাজি হাইস্কুল ১৯৪৯ সালে তৈরি হয়েছে। সেই স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু সেই কাজও অনুমোদন দিতে জেলা প্রশাসন দেরি করেছিল। অবশেষে টেন্ডার হয়েছে। কাজ শুরু হবে। এছাড়া কেউ অসুবিধায় পড়ে ফোন করলে সহযোগিতা করা হয়। সমালোচকরা বলেন, আমি নাকি এলাকায় সময় দিই না। তা ঠিক নয়। যতটা পারি মানুষের পাশে থেকেছি। অনেক গ্রামের রাস্তা বেহাল ছিল। গ্রামবাসীরা রাস্তা সংস্কার করার জন্য আমাকে বলেছিলেন। সেই টাকাও দিয়েছি। তবে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করলে আরও আগে অনেক কাজ করা যেত। আসলে সরকারি কাজ দেরিতেই হয়। আমার কাজ হল কেন্দ্র থেকে টাকা এনে দেওয়া। জেলার আধিকারিকদের কাজ হল, তা খরচ করা। যদিও দেরিতে হলেও বহু কাজের অনুমোদন প্রশাসন দিয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেসব কাজ কবে উদ্বোধন করার সুযোগ পাব জানি না। সুযোগ পেলে আগামী দিনেও এই এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করব।
বর্ধমান-দুর্গাপুরের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমি বাইরে থাকলেও তাঁরা ফোনে যোগাযোগ রাখেন। এই এলাকার অনেক কাজ বাকি রয়েছে। সেসব আগামী দিনে নিশ্চয়ই হবে। জেলার বহু কবরস্থানে আলোর ব্যবস্থা নেই। রাতের দিকে যাঁরা কবর দিতে আসেন তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। যেসব এলাকার বাসিন্দারা আলোর জন্য আমাকে বলেছেন সেখানে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আমি চাই, সার্বিকভাবে সব জায়গায় উন্নয়ন হোক। আমার সাংসদ তহবিলের টাকা পড়ে নেই। বিভিন্ন কাজে বরাদ্দ করে দিয়েছি।