গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় পার্টিতেই প্রশ্ন উঠছে, ঝাড়গ্রামের মতো বাংলার একটি জেতা আসনেই প্রার্থী বাছতে এমন গড়িমসি কেন করছে বঙ্গ বিজেপি? সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে যে, ‘সিটিং’ এমপি থাকলেও বিগত পাঁচ বছরে বিজেপির জেতা আসনেই জয়ের মতো জমি তৈরি হয়নি। দলের অন্দরের খবর, কেন্দ্রীয় পার্টির এহেন যুক্তির সাফাই দিতে রীতিমতো জবাব হাতড়াতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের দু’টি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। ভগবানগোলায় প্রার্থী করা হয়েছে ভাস্কর সরকারকে এবং বরানগরে টিকিট পেয়েছেন সজল ঘোষ। গত বছর দুর্গাপুজোয় রামমন্দির থিম নিয়ে কাজ করা সন্তোষমিত্র স্কোয়ার কমিটির অন্যতম কর্তা সজলবাবুকে বরানগর উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিট দেওয়ার সম্ভাবনার কথা ইতিপূর্বেই প্রকাশ করেছিল ‘বর্তমান’।
দোল উৎসবের আগের দিন রবিবার বাংলার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কিন্তু ডায়মন্ডহারবার, বীরভূম এবং ঝাড়গ্রামের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা যায়নি। চূড়ান্ত ধোঁয়াশা রয়েছে আসানসোল নিয়েও। যদিও বিজেপির একাংশের দাবি, আসানসোলের প্রার্থী পবন সিংকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা দল কিছু জানায়নি। অর্থাৎ, বিজেপির প্রথম তালিকা মতো আসানসোলের প্রার্থী ওই বিতর্কিত ভোজপুরী গায়কই থাকছেন। তবে তানিয়ে দলের অন্দরেই ধন্দ রয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে ‘চারশো পার’ করার স্লোগান তুলেছে বিজেপি, সেইমতো সমস্ত রাজ্য কমিটির কাছেই জিততে পারবেন, এমন প্রার্থীর নাম চাওয়া হচ্ছে। এবং তাতেই ফাঁপড়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। ডায়মন্ডহারবারে সোনালী গুহর পাশাপাশিই এবার শঙ্কুদেব পন্ডা এবং রাজর্ষি লাহিড়ির নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ষষ্ঠ দফার তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। কিন্তু সেখানে বাংলার কোনও লোকসভা কেন্দ্রের নাম নেই।