গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলের অন্দরমহলে টানাপোড়েন তুঙ্গে উঠেছিল। এবারও এই কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন আলুওয়ালিয়া। ভোট ঘোষণার দু’মাস আগে থেকে তিনি প্রচার শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ সারছিলেন। কিন্তু প্রথম তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তাঁকে আর জেলায় দেখা যায়নি। অনুগামীরা ধরে নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশ হবে। সেইমতো তাঁরা ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায়ও তাঁর নাম নেই। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর ভরসা রেখেছে দল। ফলে সাংসদের অনুগামীরা হতাশ হয়েছেন। তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা অবশ্য দিলীপবাবুর সঙ্গে জোরকদমে প্রচারে নেমে গিয়েছেন। দলের এক নেতা বলেন, আদি নেতারা দিলীপবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের এতদিন কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। কয়েকজনকে পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপবাবু প্রার্থী হওয়ার পর থেকে সেই পুরনো নেতা-কর্মীরা আবার নতুন করে ময়দানে নেমে গিয়েছেন। নব্য নেতারা বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না। দলের অন্দরে ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যে কোনও দিন তা প্রকাশ্যে চলে আসতে পারে। এই কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার জন্য নব্যদের কয়েকজন ও দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। দিলীপবাবুকে প্রার্থী করায় তাঁরাও হতাশ হয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সংগঠন দুরমুশ হয়ে গিয়েছে। খারাপ সময়ে নেতারা পাশে না থাকায় পুরনো দিনের বহু কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। তারপর গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হওয়ায় নেতৃত্ব আরও চাপে পড়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রার্থী বদল করে নেতৃত্ব নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কর্মীদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁদের খারাপ সময়ের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। সেইসময় সাংসদ একবারের জন্যও খোঁজ নেননি। তাই তাঁরা তাঁর হয়ে প্রচার না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দল দিলীপবাবুকে প্রার্থী করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছে। কিন্তু সাংসদের ভূমিকা তাঁকে বেকায়দায় ফেলেছে বলেই অনেকে মনে করছেন। বিগত পাঁচ বছরে সংসদ কী কাজ করেছেন সেই কৈফিয়ৎ প্রচারে বেরিয়ে তাঁকেই দিতে হবে। আলুওয়ালিয়া আদৌ বর্ধমানে এসে রিপোর্ট পেশ করবেন কি না তা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে রয়েছেন।